Site icon suprovatsatkhira.com

মোনায়েম গাইন হত্যা মামলার আসামিদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট: আশাশুনির মোনায়েম গাইন হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মুক্তি পাওয়া আসামিদের জামিন বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের এলাহী বক্স গাইনের ছেলে নজরুল ইসলাম গাইন এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শোভনালী ইউনিয়নের বালিয়াপুর মৌজায় কয়েকটি দাগের মধ্যে ২১.০৪ একর জমি ২০০১ সালে তিনি ও তার ভাই শহীদুল ইসলাম গাইন, ওহাব গাইনসহ কয়েকজন গোদাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক, বালিয়াপুর গ্রামের খোদা বক্স সরদারসহ কয়েকজনের কাছ থেকে কোবালা মূলে কিনে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে আছেন। ওই জমি নিয়ে আশাশুনি সদরের ফজলুর রহমানের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিলে ২০০৮ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম উভয়পক্ষকে ডেকে শালিসের মাধ্যমে মীমাংসা করে দেন। শালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি ও তার শরীকগণ ওই জমি রুহুল আমিন গাইন ও মোনায়েম গাইনের কাছে চিংড়ি চাষের জন্য লিজ দেন। সে অনুযায়ী তারা শান্তিপূর্ণভাবে চিংড়ি চাষ করে আসছে। ইতোপূর্বে ওই জমি নিয়ে ফজলুর রহমান জজ কোর্ট থেকে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পেলেও পরবর্তীতে হাইকোর্ট স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রহিত করে দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে ফজলুর রহমান সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল দায়ের করলে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদশে চিরতরে রদ হয়ে যায়। বর্তমানে ওই জমি আমরা খাজনা পরিশোধ করি।
তিনি আরো বলেন, ওই জমি নিয়ে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হলে তিনি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর ২০১৪ সালের ১৭ মে এক আবেদন করেন। ওই বছরের ২৯ জুন উভয়পক্ষকে নিয়ে শুনানী শেষে সহকারী পুলিশ সুপার মনির হোসেন প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ ও তাদের (নজরুল) দখল সম্পর্কিত জমির সকল তথ্য তুলে ধরা হয়।
ওই জমি রেকর্ডে ভুল দেখতে পেয়ে তিনি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। অথচ গত ১ মে সকাল আটটার দিকে শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান মোনায়েম সানার নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা খোলচক বিলের ওই জমি দখলের চেষ্টা চালায়। বাধা দেওয়ায় মোনায়েম গাইনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিন দুপুরে পুলিশ মোনায়েম সানা, তার ভাই আশরাফ সানা ও নূর আলী সরদারের ছেলে লিটন ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় রুহুল আমিন বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আশাশুনি থানায় ১ মে রাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ইতোমধ্যে আশরাফ সানা, লিটন সরদার, আজগার গাইন, রণজিৎ বিশ্বাস, রমেশ বিশ্বাস ও বাবলুর রহমান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পেয়েই তারা তাদেরকে মামলা তুলে নেওয়া ও আবারো জমি দখলের জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মুক্তি পাওয়া আসামিদের জামিন বাতিলের সদাবি জানান।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version