মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরের ইত্যা ঋষিপল্লীর শ্মশানের পাঁচটি রেইনট্রি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মফিজুল্লাহ নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। শনিবার (১১ মে) দুপুর ১টার দিকে মণিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবাশীষ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
জানা গেছে, মফিজউল্লাহ জোর পূর্বক দুই দফায় শ্মশানের পাঁচটি রেইনট্রি গাছ কেটে নিয়েছেন। গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য ৫০ হাজার টাকা। স্থানীয় ইউপি সদস্য নিখিল দাস জানান, ১৫ বছর আগে ইত্যার পাশ্ববর্তী রাজবাড়ি মৌজায় হরিহর নদীর তীর ঘেষে সিদ্দিকুল্লাহ মাস্টারের একখ- জমি লিজ নিয়ে তাতে নার্সারি করেন ইত্যা গ্রামের মৃত নূর আলীর ছেলে মফিজউল্লাহ। সেই সুবাদে জমি বরাবর হরিহর নদীর তীর (খাস জমি) দখল নিয়ে তাতেও গাছ লাগান তিনি। ৫-৬ বছর আগে চুক্তি শেষ হলে সেখান থেকে উঠে আসেন মফিজুল্লাহ। এরপর থেকে নদী পাড়ের ওই জমিটি শ্মশান হিসেবে ব্যবহার করছেন স্থানীয় ঋষিপল্লীর বাসিন্দারা। মফিজুল্লাহ যখন জমিটি ছেড়ে আসেন তখন শ্মশান চত্বরে কয়েকটি রেইনট্রি গাছ থেকে যায়। ওই সময় তিনি ওই গাছের দাবি করেননি। তিনি আরও বলেন, সেই রেইনট্রি গাছ এখন বেশ মোটা হওয়ায় অর্ধেক গাছের দাবি নিয়ে গত মাসের শেষের দিকে ইউনিয়ন পরিষদে একটি আবেদন দেন মফিজুল্লাহ। ইউনিয়ন পরিষদ কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই মফিজুল্লাহ দুই ধাপে শ্মশানের পাঁচটি রেইনট্রি গাছ কেটে নিয়েছেন। আজ আরও একটি গাছ কেটে নেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পুলিশ আসায় সেটা সম্ভব হয়নি। এদিকে গাছ কাটার বিষয় থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ালে এলাকা ছেড়ে গাঁ ঢাকা দিয়েছেন মফিজুল্লাহ।
এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে মফিজুল্লার স্বজনরা বলছেন, শ্মশানের গাছ কেটে তিনি অন্যায় করেছেন। কাশিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম আহাদ আলী বলেন, মফিজুল্লার আবেদন পেয়ে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিখিলের উপর বিষয়টি নিরসনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেম্বার সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই মফিজুল্লাহ দুই ধাপে ৫০ হাজার টাকার গাছ কেটে নিয়েছে। এরমধ্যে শুক্রবার (১০ মে) দুইটি ও ৫-৭ দিন আগে তিনটি গাছ কেটেছে সে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করার পর পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই গাছ কেটে অপরাধ করেছে মফিজুল্লাহ। তার শাস্তি হওয়া উচিৎ। মণিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, শ্মশানের গাছ কাটার বিষয়ে সকালে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। দুই পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে।
মণিরামপুরে শ্মশানের গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/