Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুরে মাদ্রাসা ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরে মাদ্রাসা ভবনে তালা দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসী মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, মণিরামপুর উপজেলার রঘুনাথপুর-মামুথকাটি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রসা ১৯৯০ সালে স্থাপিত হয়, যার কোড নং ৫৫৯৮৮। তারপর মাদ্রাসাটি ১০/৪/১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রথম বারের মত ২ বছরের জন্য একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। এরপর ২০/৩/১৯ তারিখে সর্বশেষ ৩১ শে ডিসেম্বর ২০২২ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, যাহার স্বারক নং বামাশিবো-ইব -২৯/৫, তাং-২০/০৩/২০১৯।
এই অফিস আদেশে মাদ্রাসা বোডের উপ-পরিদর্শক মো. হোসেন ও সহকারী পরিদর্শক রইচ-উল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে। অথচ উপজেলার খড়িঞ্চী গ্রামের লুৎফর রহমান ওই প্রতিষ্ঠানকে প্রাথমিক বিদ্যালয় করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে চাঁদাবাজিতে নেমেছে। সেই সাথে জুটিয়ে নিয়েছে ওই এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তিকে। তাদের সাথে নিয়ে গত ২৭/৩/১৮ তারিখে মাদ্রাসায় ঢুকে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালায় এবং শিক্ষকদের প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম আদালতের স্মরণাপন্ন হন। তিনি লুৎফর রহমানসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালতে গত ৪/৪/১৮ তারিখে ১৪৪ ধারায় মামলা রুজু করেন। যার নং পি, ৪৩৬/১৮। মামলাটি আদালত মণিরামপুর থানায় হস্তান্তর করেন। আদালতের নির্দেশ মতে থানার এসআই তোবারেক আলী গত ১৬/৪/১৮ তারিখে ঘটনাস্থলে আসেন এবং আইন মোতাবেক নোটিশ দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনার ক্ষেত্রে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। এতে লুৎফর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিসহ ১০ জনের নামে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-সি.আর ৭১৮/১৮ তাং ২/১২/১৮। তাতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে লুৎফর রহমান গত ৮/৪/১৯ তারিখে সকাল ১১টার দিকে এলাকার শহিদ, সেলিম, কামালসহ ১০-১২ জনকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসা চলমান অবস্থায় শিক্ষকদের উপর হামলা করে তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। তারপর ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দিয়ে তালা খুললে জীবননাশের হুমকি দেন। এতে শিক্ষকরা প্রাণের ভয়ে ৭নং খেদাপাড়া ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন, তারপরেও ভয়ে প্রতিষ্ঠানের তালা খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। তারা বর্তমান প্রতিষ্ঠানের জমিদাতা মরহুম বদিউজ্জামানের বাড়িতে ছ্ত্রা-ছাত্রীদের পাঠদান করছেন।
আদালতের নিয়ম ভঙ্গ করে এধরনের বেআইনি কর্মকা-ে এলাকাবাসী ফুঁসে উঠেছেন।
সরেজমিনে গেলে ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, আমরা অনেক চেষ্টা করে প্রতিষ্ঠানটি করেছি। লুৎফর রহমান এসে মাদ্রাসা ভেঙ্গে প্রাইমারী স্কুল বানাতে চায়, যেটা বহু চেষ্টা করেও সে পারিনি। এখন সে শিক্ষকদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। সে শিশু ধর্ষণ মামলায় বিগত কিছু দিন জেল খানায় থেকে বাড়ি এসে এসব কাজে লিপ্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে লুৎফরের সাথে কথা হলে তিনি টাকার দাবির বিষয়ে বলেন, প্রাইমারী স্কুলের ভবনে যে ব্যয় হয়েছে, আমরা সেই ব্যয়ের টাকা দাবি করেছি। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক এ প্রতিনিধিকে জানান, আমি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ৭নং খেদাপাড়া ইউপিতে লিখিত অভিযোগ করেছি। চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version