Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুরে ভিডিপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব দেয়ার বিনিময়ে আট লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ, প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত

মো. আব্বাস উদ্দীন,মণিুুরামপুর: মণিরামপুর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে। অবশেষে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। যশোর জেলা অ্যাডজুটেন্ট অফিসের মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা মামুন হোসেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছেন।
তদন্ত করে অভিযোগসমূহের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুন হোসেন। এ দিকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেন নিজেকে রক্ষা করতে তদ্বির মিশন নেমেছেন।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মণিরামপুর মোট ১২৬ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি প্রতি কেন্দ্রে ১২ জন করে আনসার (পুরুষ-মহিলা) সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১২৬টি কেন্দ্রে মোট এক হাজার পাঁচ’শ ১২ জন আনসার মোতায়েন করা হয়। ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক হোসেন ডিউটির তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করতে প্রতি সদস্যের কাছ থেকে পাঁচ’শ টাকা করে ৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকা আদায় করেন।
অন্যদিকে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে একজন আনসার কমান্ডার ও একজন সহকারি কমান্ডার নিয়োগের জন্য কার্যক্রম শুরু হয় মাস দু’য়েক আগে। উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভা ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে আবুল হোসেন মনা এবং তার জামাই আবু তাহের, হরিহরনগর থেকে বজলুর রহমান, মশ্বিমনগর থেকে রবিউল ইসলাম, শ্যামকুড় থেকে আনোয়ারুল ইসলাম, নেহালপুর থেকে আবুল কাশেম এবং মুনসুর আলীসহ মোট ৩৮ জনের একটি চুড়ান্ত তালিকা প্রনয়ন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা টিআই ফারুক হোসেন নিয়োগের চুড়ান্ত তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করতে প্রতিজনের কাছ থেকে ঘুষ নেন ১৫ হাজার টাকা। সে ক্ষেত্রে মোট ৩৮ জনের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এ ছাড়াও এক গ্রাম থেকে দুইজনকে নেওয়ার বিধান না থাকলেও মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে হেলাঞ্চী গ্রামের আবদুল বারিক মোড়লের ছেলে ফরিদুল ইসলাম, কালিপদ মন্ডলের ছেলে পরিতোষ মন্ডল, মনোহরপুর গ্রামের মুনসুর সরদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও আবদুল মজিদের ছেলে আলমগীর হোসেনের নাম অন্তর্ভূক্তি করা হয়েছে। আর এ সব দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিকে রিপোর্ট প্রকাশিত হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যে জেলা অফিস থেকে মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা মামুন হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় অভিযোগ সমুহের তদন্ত করতে। ইতিমধ্যে মামুন হোসেন গত রোববার এবং সোমবার দুদিন ধরে সরেজমিন তদন্ত করেন। ভূক্তভোগীদের মধ্যে হোসেন আলী এবং কাজল রেখা জানান, মামুন হোসেন তাদের জবানবন্দি নিয়েছেন। মামুন হোসেন জানান, তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ সমূহের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা টিআই ফারুক হোসেন জানান, তদন্ত সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেননা, এসব ভূয়া বলে দাবি করেন তিনি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version