মণিরামপুর প্রতিনিধি: মণিরামপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ওই ছাত্রী। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর ওই ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে তার প্রেমিক মিঠুন চক্রবর্তী। এলাকাবাসী এঘটনায় জড়িত মিঠুন ও তার সহযোগীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ওই স্কুল ছাত্রী জানায়, তাদের বাড়ি উপজেলার পাড়ালা গ্রামে হলেও পাশ্ববর্তী দাসেরহাট এলাকায় মামা গোবিন্দ ব্যানার্জীর বাড়িতে থেকে একটি বালিকা বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো। অপরদিকে দাসেরহাটের পাশে খাকুন্দি গ্রামের খালু গোবিন্দ কুমারের বাড়িতে থাকতো তালা উপজেলার দলীয়বাজার-মাদরা গ্রামের শিবু চক্রবর্তীর ছেলে মিঠুন চক্রবর্তী। পাশাপাশি গ্রামে থাকা এবং স্কুলে যাওয়া-আসার পথে ওই ছাত্রীর সাথে পরিচয় ঘটে মিঠুনের। এরপর ওই এলাকার রতন নামের এক যুবক তাদের দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে দেয়। অনেক চেষ্টার এক পর্যায় মিঠুন ওই ছাত্রীকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরবর্তীতে তাকে বিয়ে করার কথা বলে মিঠুন তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রায় এক বছর ধরে তাদের মধ্যে মন দেয়া-নেয়া চলতে থাকে। এক পর্যায় অন্তÍঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। সম্প্রতি ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় মিঠুন। অভিযোগ রয়েছে মিঠুনকে সেল্টার দেয়া এবং খালুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলেসহ কয়েকজনের হাত রয়েছে। স্থানীয়রা জানায় লোকলজ্জা এবং নিজের আত্মসম্মানের কারণে কিছুদিন যাবত ওই ছাত্রী তার মামা গোবিন্দ ব্যানার্জীর বাড়ি থেকে কোথাও বের হয়নি।
এ ব্যাপারে নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল বাশার বলেন, উক্ত ঘটনায় দু’পক্ষের বসাবসিতে গোলযোগ হতে পারে এমন সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশের অবস্থান ছিল। তবে উক্ত ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় অথবা নিকটবর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।
মণিরামপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/