মে ১৮, ২০১৯
ফলোআপ: দেবহাটায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস সহকারী ঘুষ বাণিজ্য : সংবাদ প্রকাশের জেরে ৭০হাজার টাকা ফেরত, অফিস সহকারী আনিছুরকে বাঁচাতে অন্যত্র বদলী
![]() এমএ মামুন, দেকহাটা (সদর): দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এক কর্মচারীর নিকট থেকে লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশ করায় ৭০ হাজার টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন ঐ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পর নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত অফিস সহকারী আনিছুরের ঘুষ বাণিজ্য ঠেকাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের তড়িঘড়ি তদন্ত শেষে তাকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে বদলী করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা আকবার আলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের এমএলএসএস হিসাবে দীর্ঘদিন চাকরী করে সম্প্রতি অবসরে যান। তিনি পেনশনের টাকা নেওয়ার জন্য কাগজপত্র রেডি করতে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপরেটর তানভীরের নিকট গেলে তিনি নৈশ প্রহরী আনিছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। যিনি নৈশ প্রহরী হলেও অফিস সহকারীর দায়িত্ব পালন করছেন। নৈশ প্রহরী আনিছুর রহমানের কাছে গেলে সকল কাগজপত্র ঠিক করতে ১২ হাজার টাকা দাবি করে। এসময় তাদের দাবিকৃত ১২ হাজার টাকা থেকে নয় হাজার টাকা দেয় নৈশ প্রহরী আনিছুরকে। এরই মধ্যে আনিছুর এক লক্ষ টাকার ঘুষ দাবি করেন। আকবারকে আনিছুর বলেন, আপনি একলক্ষ টাকার এক পঁয়সা কম দিলে পেনশনের টাকা উঠাতে পারবেন না। পরে আনিছুর ও তানভীর তার কাগজ পত্র ঠিক করে দেওয়ার পর পেনশনের টাকা উত্তোলনের সময় এক লক্ষ টাকা ও কাগজ ঠিক করতে বার হাজার টাকার বাকি তিন হাজার টাকা দিতে হয়। বিষয়টি লোকমুখে অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীদের কানে গেলে স্থানীয় একব্যক্তির মাধ্যমে গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরৎ দেয় এবং গত (১ মে) আরো বিশ হাজার টাকা ফেরৎ দেয় আকবরকে। ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রশাসনের নজরে আসে। সাথে সাথে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালকের নির্দেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ঘুষ গ্রহণকারী আনিছুর রহমানকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে বদলী করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রনজিত কুমার রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালকের নির্দেশে তদন্ত করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ঘুষ গ্রহণকারী আনিছুর রহমানকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে বদলী করা হয়েছে। 9,123,707 total views, 10,671 views today |
|
|
|