Site icon suprovatsatkhira.com

ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ কুমিরার চাষীরা

শেখ ইমদাদুল ইসলাম, (কুমিরা) পাটকেলঘাটা: ‘ধান লাগায়ি কি হবে, এর চায়ি কিনি খাব তবুও লোকসান গুনতি হবে না আমাগি মতোন কৃষকের’ কথাগুলো বলছিলেন পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। অভিমানের সুরে তিনি আরো বলেন, ‘ধান যদি আমরা না লাগাই তাহলি সরকারের তো বাইর দেশেত্তে আনতি হবে। আমাগির সরকার কি বোঝে না খরচের চায়ি যদি দাম কম পাই তালি ও লাগাবো কি কুরতি।’
সরেজমিনে গিয়ে পাটকেলঘাটার কয়েকজন ধান ব্যবসায়ীর নিকট খোঁজ নিয়ে এমন তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। বছর খোরাকী ঘরে তুলে বাকি ধানগুলো বিক্রি করে সকল দেনা পরিশোধ করছেন চাষীরা। অনেকে ধান লাগানোর দেনা শোধ করেছেন নিজের গরু-ছাগল বিক্রি করে। অনেক কৃষকই বলছেন ঝুঁকি নিয়ে ধান লাগানোর চেয়ে ধান কেনাতে লাভ বেশি। পাটকেলঘাটা বাজারে বেশিরভাগ কৃষকের ধান বিক্রি করতে এসে কপাল ভাজ হতে দেখা যায়। তাদের এমন দশা লোকসান হলেও করার কিছুই নেই। ধান বিক্রি করে হালখাতার টাকা শোধ না করলে বাড়ি গিয়ে মান অপমান হতে পারেন।
কয়েকজন ধান ব্যবসায়ী বলেন, ‘বর্তমানে সর্বোচ্চ সাড়ে ৭’শ টাকা মণ দিচ্ছি। বাজার যদি চড়া না হয় সরকার যদি মাঠপর্যায়ে কৃষকের খোঁজ খবর না নেয় আমরা কিবা করতে পারি। অথচ মণ প্রতি ধান উৎপাদন করতে হাজারেরও বেশি খরচ হয়েছে কৃষকের। চড়া দামে ধান বীজ কেনা, অনেকের চড়া দামে পাতা (ধানের চারা) কেনা। তারপর শ্রমিক দিয়ে চারা লাগানো, পরিষ্কার করা, পানি খরচ, সার দেয়া, গাছগুলো কাটা, ঝাড়া পরিষ্কার শেষে ঘরে তোলা নেহায়েত কম শ্রম নয়। অনেকের ধানের দাম না পাওয়ায় ধানগাছে আগুন ধরিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ জানানোর খবরও কানে আসছে। তাই সরকারের উচিত এদেশের কৃষকদের দিকে সুনজর দেয়া। আবারও যাতে কৃষকরা লাভের আশায় নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়ে ধান চাষ করে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version