Site icon suprovatsatkhira.com

টিসিবি’র পণ্য উত্তোলন করেন না ডিলাররা : ন্যায্য মূল্যের পণ্য ক্রয়ের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মণিরামপুরবাসী

মো. আব্বাস উদ্দীন, মণিরামপুর: ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র অনুমোদিত ডিলাররা পণ্য উত্তোলন না করায় সরকারের দেয়া টিসিবি’র পণ্য ক্রয়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মণিরামপুর উপজেলার মানুষ।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, মণিরামপুর উপজেলায় টিসিবি’র অনুমোদিত ডিলার রয়েছে ৮ জন। এদের অধিকাংশই অনুমোদন নবায়ন করেনি। তা ছাড়া দীর্ঘদিন এ সব ডিলাররা টিসিবি’র পণ্য উত্তোলন থেকে অজ্ঞাত কারণে বিরত রয়েছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় এসব ডিলাররা তাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বছরের পর বছর পণ্য উত্তোলন করছেন না। ফলে মণিরামপুরের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ ন্যায্য মূল্যে টিসিবি’র পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে না পেরে বরাবরই বঞ্চিত হয়ে আসছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, মণিরামপুর পৌর শহরসহ উপজেলায় মোট ৭ জন অনুমোদিত ডিলার রয়েছে। এর মধ্যে মণিরামপুর পৌর শহরে মেসার্স গৌতম ঘটক, মেসার্স ফাইম এন্টারপ্রাইজ, হেরা কনস্ট্রাকশন, ডুমুরখালী বাজারে মেসার্স শাহিনুর এন্টারপ্রাইজ, কোমলপুর বাজারে মেসার্স মোস্তফা ট্রেডার্স, রাজগঞ্জ বাজারে রণি ট্রেডার্স, ঢাকুরিয়া বাজারে সুফিয়া ট্রেডার্স পণ্য বিক্রির জন্য নির্ধারিত ডিলার। কিন্তু এ সব ডিলাররা দুই বছর ধরে টিসিবি’র পণ্য-সামগ্রী উত্তোলন করেন না। আবার তাদের ডিলারশিপের অনুমোদনের নবায়নও করেন না। তবে টিসিবি কর্মকর্তারা বরাবরের মতো বলছেন, পণ্য না তুললে নিবন্ধন বাতিল করা হবে। এ সব ডিলারদের অধিকাংশেরই নবায়নের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তবুও তাদের ডিলারশিপ বহাল রয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছর টিসিবি’র মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে চিনি ৪৭ টাকা, মসুর ডাল ৪৪ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা, সয়াবিল তেল ৮৫ টাকা এবং খেজুর ১৩৫ টাকা দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি ডিলাররা পণ্য বিক্রি করছেন। কিন্তু মণিরামপুরে ৭ জন ডিলার থাকলেও তাদের কেউই এখনো পণ্য উত্তোলন করেননি। টিসিবি কর্মকর্তারা বলছেন, গত ২৩ এপ্রিল থেকে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৩ জুন পর্যন্ত। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক উপজেলা শহরে তিনজন করে ডিলার থাকার কথা। কিন্তু মণিরামপুরে ৭ জন ডিলার রয়েছে। যাদের একজনও তাদের ডিলারের অনুমোদন নাবায়ন করেননি। পণ্যসামগ্রী উত্তোলন করেননি।
এ ব্যাপারে এক ডিলার বলেন, আমি বিগত দুই বছর ডিলারের অনুমোদন নবায়ন করেনি এবং পণ্যও উত্তোলন করিনি। তিনি বলেন, টিসিবি’র পণ্য বিশেষ করে খেজুর, মসুর ডাল খুবই নিম্নমানের। যা ভোক্তারা ক্রয় করতে অনিহা প্রকাশ করে আসছে। তা ছাড়া টিসিবি’র নির্ধারিত সকল পণ্য চাহিদা না থকালেও উত্তোলন করতে হবে এমন বাধ্যবাধকতার জন্য আমাদের বেশ বে-কায়দায় পড়তে হয়। তিনি ডিলারশিপ নবায়নের ক্ষেত্রেও অনিহা প্রকাশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, এ বিষয়ে পত্র পেয়েছি। বৃহস্পতিবার (১৬মে) সভা আহবান করা হয়েছে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। টিসিবি’র খুলনার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কার্যনির্বাহী (অফিস প্রধান) রবিউল মোর্শেদ বলেন, যারা লাইসেন্সধারী রয়েছে, কিন্তু পণ্য উত্তোলন করেনি তাদের লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version