শার্শা প্রতিনিধি: চাকুরি ছেড়ে উচ্চ শিক্ষিত যুবক মেহেদি হাসান গাড়লের খামার করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নাগপুর অঞ্চলের ছোট নাগপুরি জাতের ভেড়ার সঙ্গে আমাদের দেশি ভেড়ার ক্রস ব্রিড। এই ক্রস ব্রিডের নামকরণ করা হয় ‘গাড়ল’। গাড়ল ৭-৮ মাস পর পর বাচ্চা দেয়। সংশ্লিষ্টদের অভিমত, বাণিজ্যিকভাবে দেশে বেশি বেশি গাড়লের খামার গড়ে উঠলে মাংসের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে। গাড়ল সাধারণত কাঁচা ঘাস, খড়, দানাদার খাবার, চিটাগুড় ও পানিসহ নানা ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকে। ুকম্পিউটার প্রকৌশল বিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করে ঢাকার হেমায়েতপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠনে কাজ শুরু করেন মেহেদী হাসান। সেখানে বছর খানেক চাকরি করে ‘বিডি কলিং ওয়েবসাইট ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ডেভেলপার হিসেবে যোগ দেন। পরে চাকরি ছেড়ে দেখতে কিছুটা ভেড়ার মতো গাড়লের খামার করে মেহেদী এখন স্বাবলম্বী। যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার শিকড়ী গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে তিনি। ২০১৮ সালের জুন মাসে মেহেরপুর আট কবর এলাকা থেকে দুটি গাড়লের বাচ্চা ১৫ হাজার টাকায় কিনে শুরু করেন এই খামার। এরপর ভারতের নাগপুর, কলিকাতা ও রাজস্থন থেকে আরো ৩৫টি ক্রস গাড়ল সংগ্রহ করেছেন। বর্তমানে তার খামারে ১০০টি গাড়ল রয়েছে। একটি ৩-৪ মাস বয়সী গাড়লের দাম ৫-৬ হাজার টাকা। পূর্ণবয়স্ক গাড়লের ওজন ৬০ থেকে ৮০ কেজি পযর্ন্ত হয়। গাড়লের মাংসের দাম প্রতি কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। উপজেলা পশু সম্পদ অফিসে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন টিকা বিনামূল্যে মেলে, বছরে চার বার কৃমির বড়ি আর দুইবার পিপিআর টিকা দিলে খামার রোগমুক্ত থাকে।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ র্কমর্কতা ডা. জয়দেব কুমার সিংহ জানান, যশোরের শার্শা ও বেনাপোলে গাড়ল খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অনেকে। এতে র্কমসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। এ কারণে গাড়ল খামারের প্রতি অনেকেই আগ্রহী হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে গাড়লের বাচ্চা সংগ্রহ করে খামারীরা চাষ করছে।
গাড়লের খামার করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন মেহেদি হাসান
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/