বৈশাখ বাংলার প্রথম মাস
শুরু করে দেয় নববর্ষ,
অতীত তিরোধান আবির্ভাবের মুখোমুখি
পাই নতুন সম্ভাবনাময় স্পর্শ।
সম্রাট আকবরের নির্দেশ মোতাবেক
শুরু করা হয় ‘ফসলি সন’,
‘ফসলি সন’ এর ফরমান জারিতে
শুরু বাংলা নববর্ষ ক্ষণ।
ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে
লাগায় রঙিন কাগজ ও দেবদারু পাতা,
মিষ্টিমুখের মাধ্যমে খোলা হয় প্রতিষ্ঠানে
নতুন বছরের হালখাতা।
বাংলা নববর্ষ জাতীয় জীবনের
বড় গণমুখী ও সর্বজনীন উৎসব,
সুখ-দুঃখ ভুলে নব আহবানে
সাড়া জেগে ওঠে সব।
রমনা পার্কের বিশাল অঙ্গনজুড়ে
শত শত অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়,
বাঙালির নিজস্ব পার্বণ শিকড়ে
কোন ভেদাভেদ না রয়।
হাটে-বাজারে, খোলামাঠে, দর্শনীয় এলাকায়
বসে মেলা, ওঠে মৌসুমী ফল,
রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণে
নামে যে জনতার ঢল।
সর্বজনীন বৈশাখী উৎসবের সঙ্গীত
কতই না জানি সুমধুর!
অজান্তে মোদের হৃদয় তন্দ্রীতে
বেঁজে ওঠে ভালোবাসার সুর।
চিরচেনা আপন ঐতিহ্যের ছোঁয়ায়
মহানন্দে মাতে মোদের মন,
সাফল্য ও সমৃদ্ধির আলোক ধারায়
সমাগত হয় সর্বস্তরের লোক-জন।
এত আয়োজন বৈসাবির পাজন
অতিথি পরায়নে নই ত্রুটিহীন,
বাংলা নববর্ষ বাঙালি জীবনে
সম্ভাবনাময় এক অবিস্মরণীয় দিন।
কবিতা: বাংলা নববর্ষ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/