Site icon suprovatsatkhira.com

কপিলমুনিতে গ্রাম আদালতের ভূমিকা প্রশংসিত

কপিলমুনি প্রতিনিধি: কপিলমুনিতে গ্রাম আদালত প্রশংসিত ভূমিকা রাখছে। আদালতে মামলার জট কমাতে ও জণগণের কাছে স্থানীয় বিচার ব্যবস্থার সুবিধা পৌঁছে দিতে ২০০৬ সালে গ্রাম আদালত আইন পাস হয়, যা ২০১৩ সালে সংশোধিত হয়। এই আইনে ইউনিয়ন পরিষদকে ছোটখাটো মামলা নিষ্পত্তির ক্ষমতা প্রদান করা হয়। সেই অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ের অনেক মামলাই গ্রাম আদালতে নিষ্পত্তি হচ্ছে। তবে উপকরণাদি, দক্ষ জনশক্তি ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব ও স্থানীয় জনগণের অসচেতনতা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচারিক সুবিধা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করছে।
জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএনডিপি, এবং বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় ও ত্রিপক্ষীয় অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প গ্রাম আদালত কার্যকর করতে কাজ করছে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে দেশের ৮টি বিভাগের ২৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলার ১,০৮০টি ইউনিয়নে কাজ করছে।
যা কপিলমুনি এলাকার সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিচার ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণে এ প্রকল্পটি কাজ করছে।
জানাগেছে, কপিলমুনি ইউনিয়নের গ্রাম আদালতে ১৫২টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫২টি মামলাই নিষ্পত্তি হযেছে।
মামলার আবেদনকারীরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে পেয়েছেন ৯,৯৯,৬০০ টাকা।
এছাড়া এ পর্যন্ত ৬৫টি মামলা উচ্চ আদালত থেকে গ্রাম আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, গ্রাম আদালত গ্রামের দরিদ্র নারীদের বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। প্রথমত গ্রাম আদালত ইউনিয়ন পরিষদে বসে এবং এখানে আইনজীবী নিয়োগ করতে হয়না। মামলার আবেদন করার সময় নাম-মাত্র একটি ফিস জমা দিতে হয়, এর বাইরে আর কোনো খরচও নেই। বিচার প্রত্যাশী নারী হলে তার প্রতিনিধি হিসেবে একজন নারীকে প্রতিনিধি নিয়োগ করার বিধান রয়েছে। ফলে নারীরা নিসংকোচে তাদের কথা বলার সুযোগ পায়। শুধু দরিদ্র নারীরই নয়, অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যেমন প্রতিবন্ধী, দলিত, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ যারা আইন-আদালত সংক্রান্ত নানাবিধ ভীতির কারণে বিচারিক সেবা গ্রহণে অনাগ্রহী হন, তারা সহজেই স্থানীয়ভাবে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার পেতে পারেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version