ন্যাশনাল ডেস্ক: রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের মজুরি কমিশন নিয়ে বিজেএমসির দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না কারায় দ্বিতীয় দফায় চারদিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে লাল পতাকা ও লাঠি হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মজুরি কমিশন, পাটখাতে অর্থ বরাদ্দ, বদলি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণসহ ৯ দফা দাবিতে পাটকল শ্রমিকলীগ সিবিএ ননসিবিএ পরিষদের ডাকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
খুলনা-যশোর অঞ্চলের নয় পাটকলের শ্রমিকরা সকাল ৯টায় মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে লাল পতাকা ও লঠি হাতে মিল গেটে সমবেত হতে থাকেন। পরে তারা স্ব-স্ব মিল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিআইডিসি রোড হয়ে নতুন রাস্তা, দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে আবারও মিল গেটে এসে বিক্ষোভ মিছিল সম্পন্ন করেন।
আন্দোলনরত শ্রমিক নেতারা বলেন, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পি এফ গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বিমার বকেয়া দেওয়া, টার্মিনেশন, বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনঃবহাল, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাটক্রয়ের অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বাড়াতে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করাসহ নয় দফা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলো। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা রাজপথে আবার নামতে বাধ্য হয়েছি।
লাঠি মিছিল আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-পাটকল শ্রমীকলীগ সিবিএ ননসিবিএ পরিষদের আহ্বায়ক সরদার মোতাহার উদ্দিন, পরিষদের নেতা মুরাদ হোসেন, সোহরাব হোসেন, কওছার আলী মৃধা, শাহানা শারমিন, জাকির হোসেনসহ নেতারা।
বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক ও ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সভাপতি মুরাদ হোসেন বলেন, মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এছাড়া ৬/৮ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া থাকায় শ্রমিকরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। ফলে বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নামতে হয়েছেন।
খুলনায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের বিক্ষোভ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/