প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি গাঁও, নামটি মাহমুদপুর
জেলা শহর সাতক্ষীরা হতে নয় তো বেশী দূর।
শান্ত-শিষ্ট, সবুজ-শ্যামল গাঁও, আয়তনে বেশ বড়
বিপদ ক্ষণে মানব সকল, একস্থানে হয় জড়ো।
সবুজের হাটে মানব হৃদয় প্রশান্তিতে ভরে
কৃষক সকল কৃষি চাষ করে তোলে নানা ফসল ঘরে।
মোদের গ্রামখানি কল্পনার ছবির মতো
বাড়িয়ে তোলে দৃশ্য বৃক্ষলতা যতো।
গাঁয়ের ধারে প্রবাহিত হচ্ছে লাবণ্যবতী নদী
বাড়িয়ে দিতো গাঁয়ের শোভা, গঞ্জ থাকতো যদি।
মাহমুদপুর মোর জন্মস্থান, মাহমুদপুর মোর প্রাণ
থাকি যেখানেই পাই যেন সদা মাহমুদপুরের ঘ্রাণ।
গাঁয়ের পরিবেশ গাঁও বাসীদের করে ক্লান্তি দূর
বৃক্ষ ছায়ায় সবে ক্লান্তি ঘোচায় যখন গড়ায় দুপুর।
মোদের গাঁওখানি আম, জাম, লিচু নানা ফল ফসলে ভরা
সুধিজনের ধর্ম হলো বিশৃঙ্খলা দূর করা।
ঝোপঝাড়-লতাপাতার বাহারী দৃশ্য কাড়ে মন
সন্ধ্যা হলেই বাজার, দোকানগুলোতে বাড়ে লোকজন।
ঝিঁ ঝিঁ পোকা করে শুরু ঝিঁ ঝিঁ ডাক
দূর থেকে আসে ভেসে শেয়ালের হাক।
আরো অপরূপ বাড়ায় শোভা, পুকুর-ডোবা, বিল-ঝিল
আকাশে উড়ে নানা পাখি, কবুতর গাঙচিল।
অনেক জনে ভিন দেশেতে জমিয়েছেন পাড়ি
পরিবেশ তাদের শান্ত বটে, নেই কো কোন আড়ি।
সকল শ্রেণি-পেশার মানব সবে কামার, কুমার, জেলে, তাঁতী
রেখেছেন ঠিকই প্রাণের বন্ধন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি।
মসজিদ-মন্দির-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভরা মোদের গাঁও
একই গায়ের দুই প্রান্তে দুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাও।
বৈশাখী মেলা, রথের মেলা, নানান সময়ে বসে নানান মেলা
খেলার মাঠেতে করে সবে নানান সময়ে নানান খেলা।
গ্রামবাসী সবে দেয় যে খুলে সহযোগিতার দ্বার
এমন আচরণ পাশের গ্রামগুলোকে মানায় হার।
বিপদে-আপদে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নইতো শংকিত
যুগ যুগ ধরে মোদের গাঁওখানি তাইতো প্রশংসিত।
কবিতা: মোদের গাঁও
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/