নবজাতক কাঁদে জগত পরিবর্তনের আকস্মিকতায়,
শিশু কাঁদে অন্ন আর আদরের ক্ষুধায়,
নববধূ কাঁদে পিতৃকূল পেছনে ফেলে
সুখ-দুখের মিশ্রণে যেতে নতুন সুখের ঠিকানায়,
এরপর আসে কান্নার বৈচিত্র্যতা,
কত কান্না যে আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয় প্রতিনিয়ত
কে তার হিসাব রাখে?
আমি আজ এক নতুন কান্নার ইতিহাস লিখব,
হ্যা আমিই এ ইতিহাসের স¤্রাট,
তিল তিল করে কান্না জমিয়েছিলাম,
ভেবেছিলাম এ কান্না বুকের গহীনে নিয়েই ত্যাগ করব ধরাধাম,
শুধু মাঝে মাঝে কান্নারা বুক হতে-
মস্তিষ্কে গিয়ে হুঙ্কার ছাড়ত,
গুমরিয়ে উঠত,
আমি স¤্রাট, কি করে তোদের এ দুঃসাহস হয়?
বীরের মত শাসিয়ে নিয়ে আসতাম
তার নিজস্ব আস্তাবলে।
আর হ্যা, আটত্রিশটি বসন্ত এভাবে কেটে যায়,
আজ আমি বড়ই দুর্বল-
পরাজিত এক সৈনিক আমি
তাই আর কান্নারা আমার কথা শোনে না,
বুক ভেঙ্গে চোখের পাপড়ীতে এসে দাড়ায়
আমি ওদের করজোড়ে নিবেদন করি-
যা ঘরে ফিরে যা।
ওরা ঝরে পড়ে শ্রাবণ ধারায়,
বাঁধ ভেঙ্গে যায় খর স্রোতা ব্রহ্মপুত্রের,
শুধু অনুরোধ করি তাদের ধারে
শোন বাচারা, স্থান কাল টুকু অন্তত বিচার কর,
কে শোনে কার কথা?
ওরা ঝরতেই থাকে।
আমায় অভিনয় করতে হয়-
ওরা কান্না নয়, ওরা– ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর অস্ফুটে বলি ফিরে যা।