ও খোকা এদিকে আয়
দেখ বৈশাখ এসেছে দ্বারে,
বাতাসের কোলে পাকা আম দোলে
নদীর বুকে সঙ্গীত সুখে
মুর্ছনা ঝরে ওরে।
ভুলতে বসেছি আমরা বাঙালি
ধুতি পাঞ্জাবীর ছেলে
ফ্রক আর শাড়ীর মেয়ে,
আমরা নহি তো কোট প্যান্ট টাই
ফ্রাই কাবার আর ইংরেজ চাইনিজ
টেডি টগর ছেলে মেয়ে।
মনে পড়ে আজি ঢেকিঁর পাড়ে
বাঙালি নারীর সেই মোহমায়া ছন্দ,
দহলিজ ঘরে যাত্রাপালা-
ভালবাসা ছাড়া ছিল না কোন দন্দ্ব।
আজ মনে পড়ে এই না ভোরে,
হাঁক মেরে বলেছি, যাব মাঠে দাও
পান্তা ইলিশ ঝালপোড়া আর
ব্যস্ত কর ওরে।
ইশান কোণে মেঘ জমেছে, কালবৈশাখী এল,
তোমরা এখনো টিভির সামনে
কম্পিউটারে গেম খেলো,
এই না ক্ষণে আমরা ছুটেছি-
আম গাছের ঐ তলে।
আজি ব্যানার ফেস্টুন, স্মৃতি রোমন্থনে
পান্তা ইলিশ, মঙ্গলযাত্রা
সেদিনের স্মরণে,
তাই আশা বুকে, বড়ই সুখে
একটি দিনের তরে,
জেগে রবে যুগ যুগ ধরে
আমার নিঃশ্বাস তোমার বুকে।
বছর ঘুরে বারে বারে আসে
পহেলা বৈশাখ করে,
ভেসে যাই সেদিন-
বাউল, ভাটিয়ালী, জারি সারি আর
পল্লীগীতির সূরে।