বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের শার্শায় জিপ গাড়ির চাপায় নিপা নামে নাভারণ বুরুজবাগান পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার শিকার নিপা নাভারণের দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
এ ঘটনায় টায়ার জ্বালিয়ে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। সাথে সাথে এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নাভারণ বাজার এলাকার কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে অবরোধে যোগ দেয়। এসময় তারা জিপ গাড়িটি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া নিরাপদ সড়কের দাবিতে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ও নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে গাড়িটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
জানা গেছে, বুধবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নাভারণ বাজারে একটি জিপ গাড়ি তিন স্কুল ছাত্রী বহনকারী একটি ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে নিপা নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এসময় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী স্মৃতি ও নবম শ্রেণির রিপা ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে আহত হয়।
নাভারণ বুরুজবাগান পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রহমান বলেন, বুধবার সকালে স্কুলে আসার সময় যশোর থেকে ছেড়ে আসা একটি জিপ গাড়ি শিক্ষার্থী বহনকারী ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। পরে নিপার পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি উঠিয়ে দিলে তার পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গুরুতর আহত নিপা ও অপর দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এখবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পুলক কুমার মন্ডল, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম মশিউর রহমান।
যশোর জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল সদর হাসপাতালে আহত নিপার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন এবং বিক্ষুব্ধ ছাত্রীদের সাথে কথা বলে স্কুলের সামনে গতিরোধক নির্মাণের নির্দেশ দেন।
শার্শায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পা বিচ্ছিন্ন, সড়ক অবরোধ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/