যশোর প্রতিনিধি: যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের পথ্য হিসেবে গুঁড়ো দুধ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের বাইরে সেবিকারাই গুঁড়ো দুধ লিখে স্লিপ ধরিয়ে দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সূত্র জানিয়েছে, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের পথ্য হিসেবে তরল খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিলেও চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে কোনো নির্দিষ্ট খাবারের নির্দেশনা দেন না। এ সুযোগে হাসপাতালের মেডিসিন, লেবার ও গাইনিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সেবিকারা রোগীদের গুঁড়ো দুধের নাম লেখা স্লিপ ধরিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি সেবিকারা রোগীর স্বজনদের গুঁড়ো দুধ কিনে আনতেও বাধ্য করছেন।
পারভিনা খাতুন, বিজলী খাতুন, আবুল কালাম, রমজান আলী নামে রোগীর স্বজনরা বলেন, গুঁড়ো দুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ওয়ার্ডে গিয়ে সেবিকাদের পাশে বসে থাকেন। তারাই নিজেদের কোম্পানির গুঁড়ো দুধের নাম লেখা ছোট কাগজ সেবিকাদের কাছে দিয়ে যান। পরে সেটা আমাদের ধরিয়ে দেয়া হয়। কোম্পানিভেদে প্রতি কৌটা গুঁড়ো দুধের দাম নেয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। সেবিকাদের চাপাচাপির কারণেই এ দুধ কিনতে হচ্ছে।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের একজন সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, গুঁড়ো দুধের স্লিপ দেয়ার বিষয়টি তার নজরেও এসেছে। সাধারণত যেসব রোগী মুখে খাবার খেতে পারে না, তাদের তরল খাদ্য হিসেবে দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়। তাই তিনি সেবিকাদের নিষেধও করেছেন সব রোগীকে গুঁড়ো দুধ কেনার স্লিপ না দেয়ার জন্য। কিন্তু সেবিকারা নিষেধ শুনছেন না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালে মেডিসিন ওয়ার্ডের সিস্টার ইনচার্জ রোকেয়া খাতুন ও গাইনি ওয়ার্ডের রেশমা পারভীন বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু বলেন, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের বাইরে গুঁড়ো দুধ কেনার জন্য রোগীর স্বজনদের হাতে স্লিপ ধরিয়ে দেয়ার ঘটনা দুঃখজনক। বিষয়টি জানা ছিল না। এ ধরনের কর্মকা- বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল: রোগীর জন্য গুঁড়ো দুধ কিনতে বাধ্য করছেন সেবিকারা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/