Site icon suprovatsatkhira.com

যশোর শহরে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই, দোষীদের ধরা যাচ্ছে না

যশোর প্রতিনিধি: যশোর শহরে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। সেই ছিনতাইকারীরা এক মাসের বেশি সময়েও সনাক্ত হয়নি। শনিবার আবারও পুলিশ পরিচয়ে তিন স্থানে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র জানায়, ২৯ জানুয়ারি ও ২ ফেব্রুয়ারি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ পরিচয়ে ১৪ জনের কাছ থেকে মোবাইল ফোনসেট, ল্যাপটপ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। ছিনতাইয়ের শিকার সকলেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। একের পর এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জনমনে আতংক বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ছিনতাইকারীরা আসলে কারা। যশোরে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও দুই দিন শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল করে এসে দুই যুবক পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার পর পুলিশ ব্যাপক তৎপর হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামি সনাক্তের কাজ চালায়। কিন্তু পুলিশ ব্যর্থ হয়। এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন কাউকে আটক করতে পারেনি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবার ৯ মার্চ বিকেলে চার জনের কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা আরো অভিযোগ করেছেন, এমনভাবে সামনে এসে দাঁড়ায় তাদের দেখলে মনে হবে আসল পুলিশ। কোমরে হ্যান্ডক্যাপ, পিস্তল ও ওয়াকিটকিসেট ছিল। তাদের সামনে কোন প্রশ্ন করা হলেই থাপ্পড় মারতে থাকে। কোতোয়ালি মডেল থানার সাদা পোশাকধারী পুলিশও মানুষের সাথে একই আচরণ করে বলে ভুক্তভোগীদের ধারণা। ফলে কারা আসল কারা নকল তা বোঝার উপায় থাকে না।
ছিনতাইয়ের শিকার শার্শা উপজেলার শালকোনা গ্রামের শিহাব হোসেন (২২) জানান, শহরের ধর্মতলা এলাকার ব্র্যাক অফিসের সামনে আব্দুল হামিদ ইঞ্জিনিয়ারের ছাত্রাবাসে থাকেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁচড়া রায়পাড়া তেঁতুলতলা থেকে প্রাইভেট পড়িয়ে মেসে ফিরছিলেন। তেঁতুলতলার পশ্চিমে বাইলেনে বাইসাইকেল নিয়ে পৌঁছানো মাত্র কালো রংয়ের হোন্ডা ব্রান্ডের একটি মোটরসাইকেলে এসে তার গতিরোধ করে এবং আচমকা চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। পরে তার কাছে থাকা ১৯ হাজার টাকা মূল্যের দুইটি মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। তার মানিব্যাগে থাকা মেস চালানোর ৫ হাজার টাকা এবং আইডি কার্ড নিয়ে দ্রুত চলে যায়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হাসান বলেন, তিনটি ছিনতাইয়ের সংবাদ শুনেছি। কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে চারিদিকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি চক্রকে আটক করার জন্য।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version