যশোর প্রতিনিধি: যশোরের বাঘারপাড়ায় ভোটারদের মাঝে ভীতি সঞ্চার করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে মারপিটের শিকার হয়েছেন যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান লিটন ও তার কয়েক সহযোগী। এ ঘটনায় দু’পক্ষ দু’ধরনের বক্তব্য দিলেও পুলিশ বলেছে, মারপিটের ঘটনা ঘটেনি। দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল মাত্র।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লিটন ও তার কয়েক সহযোগী শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ৮-১০টি মোটরসাইকেলযোগে হ্যান্ডমাইকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। মাইকে তিনি গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত এই ভোটে অংশ নিচ্ছে না। সে কারণে তাদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। ভোট কেন্দ্রে গেলে তাদের হাত-পা ভেঙে দেয়া হবে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া ও পরে মারধর করে। পরে পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানতে চাইলে কামরুজ্জামান লিটন বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলীর (নৌকা মার্কা) পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। রাত ১২টার দিকে আমরা চাড়াভিটা বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে সবাই চা-বিস্কুট খাচ্ছি, এমন সময় হঠাৎ করে বাসুয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল ইসলাম কাজলের (আনারস মার্কা) ভাই টুটুলের নেতৃত্বে শতাধিক সশস্ত্র ব্যক্তি আমাদের ঘিরে ধরে মারপিট করে। এতে আমাদের নৌকার ৫-৭ সমর্থক আহত হন। এ ঘটনায় শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাঘারপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে নিষেধ কিংবা হুমকির বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
যোগাযোগ করা হলে বাসুয়াড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদার বলেন, কামরুজ্জামান লিটন ও তার কয়েক সহযোগী গভীররাতে কয়েকটি মোটরসাইকেলে এলাকায় এসে ভোটারদের মাঝে ভীতি সঞ্চার করছিলেন। তারা বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্যে শাসায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়রা তাদের দু’একজনকে ধরে মারপিট করে। খবর পেয়ে আমিসহ কয়েকজন তাদের উদ্ধার করি। তিনি বলেন, লিটন সম্পর্কে আমার চাচাতভাইয়ের ছেলে। আমি তাকে কেন মারতে যাবো। তাদের সাথে আমার পারিবারিক বিষয়ে কলহ রয়েছে, সে কারণে এমন উদ্ভট দাবি করতে পারেন তিনি।
এ ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানার এসআই আজিজুর রহমান জানান, শুক্রবার রাত ১টার দিকে কামরুজ্জামান লিটন চাড়াভিটায় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না আসার ঘোষণা দিচ্ছিলেন বলে শুনেছি। তখন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল ইসলাম কাজলের সমর্থকদের সাথে লিটনের ধস্তধস্তি হয়। খবর পেয়ে তিনি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
বাঘারপাড়ায় উস্কানিমূলক মাইকিংয়ে ভীতি সঞ্চারে যুবলীগ নেতা প্রহৃত
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/