ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরার বিনেরপোতা এলাকায় এক ব্যক্তির ভোগদখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে সেখানে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলার বিনেরপোতা এলাকার মৃত সুধন্য নাথ মন্ডলের ছেলে মহেন্দ্র নাথ মন্ডল এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সদর উপজেলার বিনেরপোতা মৌজার জেএল নং-৮৯ ও এস এ ১৪৫ নং- খতিয়ানের ৫৩৬২, ৫৩৬৩ এবং ৫৩৬৫ দাগে আমার দাদু নকুল নাথের নামীয় ১৬ শতক সম্পত্তি আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু গত তিন বছর আগে যতীন্দ্র নাথ মন্ডলের ছেলে বিমল, কন্ঠ ও পূণ্য সম্পূর্ণ গায়ের জোরে আমাদের বসতবাড়ি ভেঙে দিয়ে জমি দখল করে সেখানে ভবন নির্মাণ শুরু করে। এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আমাদের আইনজীবী ও মহুরী প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে লম্বা দিন দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে যাচ্ছে। এদিকে দখলকারী বিমল, কন্ঠ ও পূণ্য প্রায় আমার ও আমার সন্তানদের মারপিট করে। প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাদেরকে খুন জখমের হুমকি দেয়। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জানালেও তাদের কোন রায় উল্লিখিত অবৈধ দখলদাররা মানে না।
মহেন্দ্র নাথ মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, আমার পিতারা চার ভাই ছিল। কুচক্রী যতীন্দ্র নাথ আমার বাবাকে খুন করলে দাদা ভয়ে তিন কাকুকে ভারতে পাঠিয়ে দেয়। এই সুযোগে যতীন্দ্র নাথ জাল দলিল সৃষ্টি করে আমার দাদার সকল বিলান জমি জোরপূর্বক ভোগ দখল শুরু করে। যতীন্দ্র নাথ মন্ডলের মৃত্যুর পর তার ছেলেরা জোরপূর্বক আমাদের দীর্ঘদিনের বসতবাড়ি ভাঙচুর করে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করে বসবাস করছে। তাদের অবৈধ অর্থের প্রভাবে আমরা কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছি না।
তিনি আরো বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি দাদা নকুল, আমার বাবা সুধন্য বা তার কোন ভাইয়েরা একশতক সম্পত্তিও বিক্রি করেনি। আমার যে সব কাকুরা ভারতে রয়েছেন তারাও বলেছেন ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করবে সুধন্য’র ছেলেরা। যেহেতু সম্পত্তির জন্য তাদের বড় ভাই সুধন্যকে খুন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ওই জমির খাজনা দাখিলা আমরাই কাটছি, আর ভোগ দখল করছে অবৈধ দখলদাররা। এছাড়া বর্তমানে তারা আমাদের উপর এমনভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালাচ্ছে যাতে আমরা ওই সম্পত্তি ছেড়ে দ্রুত ভারতে চলে যাই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাদের পৈত্রিক বসতবাড়ি উদ্ধার ও জাল দলিল সৃষ্টিকারী জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
