মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের মণিরামপুরে গভীর রাতে বাড়ি-ঘর দখলে নিতে সন্ত্রাসীদের তা-ব চলাকালে প্রতিবন্ধীর চিৎকারে এগিয়ে যাওয়াই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিবেশীদের। থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাদেরকে পুলিশি হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গ্রেফতার আতংকে রাতে নারী-পুরুষ বাড়িতে ঘুমোতে পারছেন না বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। তাদের অনেকেই পানের বরজসহ বিভিন্ন স্থানে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। প্রতিকারে এলাকাবাসী থানায় এসে হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মণিরামপুর থানা ও স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশের উপস্থিতিতে ওই রাতে হাফিজুর রহমান, কামাল গাজী, মাহাবুর, কালাম মোড়লের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ তান্ডব চালিয়েছে বলে ভুক্তভোগী বনানী মন্ডলের অভিযোগ। ভুক্তভোগীর দাবি, ওই রাতে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর-লুটপাট, বিচালি ঘরে অগ্নিসংযোগ, তুলসি গাছ কেটে দেয়াসহ থালা-বাসন ভাংচুর চালিয়ে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। এসময় তার ঘুমন্ত দুই শিশু সন্তান জয় মন্ডল ও কৃষ্ণ মন্ডলকে টেনে হিচড়ে ঘরের বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়। সন্ত্রাসীদের তান্ডব চলাকালে তাদের আর্ত চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে যায়। এখন তাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ মামলা না নেয়ায় গত ৪ মার্চ যশোর আদালতে হাফিজুর রহমান, কামাল গাজী, মাহাবুর, জয়দেব মন্ডল, কালাম মোড়লসহ অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। বিষয়টি আমলে নিয়ে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনবেস্টিগেশন) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার রাত ১২ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার খাকুন্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশের বিরুদ্ধে দোষীদের গ্রেফতার না করে উল্টো ওই রাতে বনানী মন্ডলের আর্ত চিৎকারে এগিয়ে আসা নারাণ মন্ডল, দীপক মন্ডল, তাপস মন্ডলসহ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। নারান জানান, পুলিশের ভয়ে রাতে বাড়িতে ঘুমোতে পারছেন না। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রতিবেশী অনেকেই বাড়ির পাশে পানের বরজে রাত কাটাচ্ছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কালীপদ মন্ডল জানান, বিষয়টি নিয়ে তারা ওসির সাথে কথা বলেছেন। ওসি সহিদুল ইসলাম জানান, হাফিজুর রহমানের দেয়া অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। তবে, কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।
গ্রেফতার আতংকে নির্ঘুম রাত
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/