খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার আড়ংঘাটা থানাধীন যোগিপোল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তেলিগাতী বুচিতলা এলাকার শেখ আনছার আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম রবির বিরুদ্ধে এলাকার পানি নিষ্কাশনের সরকারি খালের মুখসহ প্রায় পাঁচ শতাংশ খাস জমি দখল করে পাকা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠছে। ভয়াবহ জলাবন্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেতে নতুন করে নির্মিত পাকা প্রাচীর অবিলম্বে ভেঙে ফেলার আহবান জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, বৃহত্তর মহেশ্বরপাশা এবং বুচিতলা এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র বুচিতলা খালের মুখ, পানি নিষ্কাশনের ড্রেন এবং সরকারি খাস জমি দখলকারী ভূমিদস্যু রবিউল ইসলাম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং স্থানীয় যোগিপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নোটিশের তোয়াক্কা না করে খাস জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। অভিযুক্ত রবিউলের বিরুদ্ধে তার আপন ভাইয়েদের সম্পত্তি কৌশলে নিয়ে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
রবিউল ইসলামের বড় ভাই সেনাবাহিনীতে কর্মরত শেখ কবির জানান, আমার পিতা সহজ সরল লেখা-পড়া জানেন না, কানে শোনেন না-এই সুযোগে রবিউল আমাদের চার বোনসহ সাত ভাই বোনের জমি লিখে নিয়েছে। এমন কি আমাদের কবরস্থানের জায়গাটা পর্যন্ত সে লিখে নিয়েছে ।
এ ব্যাপারে ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধি জিএম এনামুল কবির বলেন, অবৈধ প্রাচীর ভেঙে ফেলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এলাকাবাসী যৌথভাবে তাকে প্রাচীর ভেঙে ফেলার জন্য বলেছে। প্রাচীরটি ভেঙে না দিলে বর্ষা মৌসুমে জলাবন্ধতার কবলে পড়বে কয়েকটি গ্রাম।
বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ আনিছুর রহমান নোটিশের কথা স্বীকার করে বলেন, খাস জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে রবিউলকে ৪৮ ঘন্টার সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে প্রাচীর অপসরণ না করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত রবিউলের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। ইউনিয়ন পরিষদের নোটিশের বিষয়ে তিনি বলেন, নোটিশের জবাব দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এটা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
খাল ও খাস জমি দখল করে পাকা প্রাচীর নির্মাণ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/