যখন তুমি পরাধীন থাকতে থাকতে একটি নীল বর্ণ সময়ের হাতে অন্তঃসত্ত্বা তুলে দেও
অথবা বশ্যতা নিয়ে লোনা ধরা একটি ইটের মতো ক্ষয়ে ক্ষয়ে একেবারে নিঃশ্বেষ হও
তখন পিছনের দেয়াল ডেকে বলে, ‘খোঁজ রে এবার স্বাধীনতা: সৌভাগ্য ফেরাবার সম্বল।’
তুমি দেয়ালের গলা চেপে ধরে বলতে পারো তোমার নেই অস্থিরতার রং, তবু ঠিকই ফেরো
তোমার জমাট বদ্ধ হৃদপিণ্ডে তখন রক্ত হামাগুড়ি দেয়, তবে তার জন্য আরো দিতে হয়
জ্ঞাতি বোন অথবা অনাত্মীয়ার সম্ভ্রম, মাতার খালি বুক অথবা প্রপিতার শোকার্ত মাতম।
তবু বেয়োনেটের ধারে রক্ত ফিনকি দিতে দিতে বলে, ‘তোমাদেরও হবে সম্মুখে মরণ’
সোপার্জিত প্রাণে শোষকের ক্রুদ্ধ মুষ্ঠিতে কাফন জড়িয়ে দিয়ে শেষে তো স্বাধীনতা আসে
কেবল রক্তে লেখা একটা কাব্য গাথা ছাড়া স্বাধীনতার সূর্য কি ছিনিয়ে আনা যায়?