এস এম নাহিদ হাসান/ফাহাদ হোসেন: তৃতীয় ধাপে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আজ। ছয় স্তরের নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে জেলার ৫৯৭টি কেন্দ্রে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২০জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৩ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে অবর্তীণ হয়েছেন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২০জন প্রার্থীর মধ্যে শ্যামনগরে জাতীয় পার্টির একজন ও দেবহাটায় এনপিপির একজন ছাড়া বাকীরা সবাই আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। নিজস্ব দলীয় পরিচয়ের বাইরেও রয়েছেন দুই একজন প্রার্থী।
অপরদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও বেশির ভাগ প্রার্থী আওয়ামী লীগের। বড় কোন দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় মূলত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ লড়াইটাই জমে উঠেছে। সেক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি সাধারণ ভোটারদের। যদিও ভোটের আগের দিন শনিবার কলারোয়ার তুলসিডাঙ্গা, সাতক্ষীরা সদরের ধুলিহরসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক সাতক্ষীরার সাত উপজেলায় কোন পদে কারা নির্বাচনে লড়ছেন এবং কোন উপজেলায় কার সাথে কার মূল লড়াইটা হবে।
সাতক্ষীরা সদর: চৌদ্দটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ভোটার তিন লাখ ৫৬ হাজার ৩২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ৭৭ হাজার ৩৩১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৯৪ জন। ১৩৭টি ভোট কেন্দ্রের ৭৫৯টি স্থায়ী কক্ষে ও ১১৫টি অস্থায়ী কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।
এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান বাবু নৌকা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম শওকত হোসেন আনারস ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. গোলাম মোরশেদ মটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন প্রার্থী। এদের মধ্যে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী (মাইক), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন (টিউবওয়েল), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আকতার হোসেন (উড়োজাহাজ), সাবেক ছাত্রনেত্রা রাশিদুজ্জামান রাশি (চশমা), সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান মিজান (তালা) ও অ্যাডভোকেট তামিম আহমেদ সোহাগ (টিয়া পাখি) নির্বাচনে লড়ছেন।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোহিনুর ইসলাম (প্রজাপতি), সোনিয়া পারভিন শাপলা (ফুটবল) এবং তহমিনা ইসলাম পেয়েছেন (কলস) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় নৌকা প্রতীকের আসাদুজ্জামান বাবু ও আনারস প্রতীকের এসএম শওকত হোসেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
তালা: তালা ও পাটকেলঘাটা প্রশাসনিক থানা নিয়ে গঠিত তালা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৪৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ২৮৪ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬১ জন। উপজেলার ৯৩টি ভোট কেন্দ্রের ৫৯৮টি স্থায়ী কক্ষ এবং ৮২টি অস্থায়ী কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।
তালা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দু’বারের উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার এবং আনারস প্রতীকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার, খেশরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা এম এম ফজলুল হক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইখতিয়ার হোসেন, উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সরদার মশিয়ার রহমান, তালা প্রতীক নিয়ে উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার, চশমা প্রতীক নিয়ে উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব মো. আমিনুজ্জামান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, কলস প্রতীক নিয়ে খেশরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মুরশিদা পারভীন পাপড়ী এবং হাঁস প্রতীক নিয়ে শাকিলা ইসলাম জুই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
স্থানীয় নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, তালায় উপজেলা নির্বাচন নিয়ে জটিল সমীকরণ তৈরি হলেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ৯৭ হাজার ৮২৮জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৯ হাজার ২১২ এবং নারী ভোটার ৪৮ হাজার ৬১৬জন। ভোট গ্রহণে ৫টি ইউনিয়নের ৪০টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
এবারের দেবহাটা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ১৪ প্রার্থী।
এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল গণি (নৌকা), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুব আলম খোকন (ঘোড়া), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. স.ম গোলাম মোস্তফা (আনারস), সাবেক উপজেলা চেয়াম্যানের পছেলে সাঈদ মাহফুজুর রহমান (মোটরসাইকেল) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ওজিহার রহমান (আম)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৫ জন প্রার্থী। এরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিন্নুর (উড়োজাহাজ), উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি (টিউওয়েল), উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছুর রহমান বকুল (চশমা), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ (তালা) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রিয়াজুল ইসলাম (আম)।
অন্যদিকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৪জন প্রার্থী। এরা হলেন, বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন (ফুটবল), সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আমেনা রহমান (পদ্মা ফুল), সাবেক ইউপি সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রিয়াংকা রানী (প্রজাপতি) এবং নাট্য পরিচালকের স্ত্রী জি.এম স্পর্শ (কলস)।
স্থানীয় নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে নৌকা ও আনারস প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
কলারোয়া: ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত কলারোয়া উপজেলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৩০ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯১ হাজার ৬৫৩ জন ও মহিলা ভোটার ৯৪ হাজার ৭৭ জন।
কলায়োয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন।
এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু (আনারস) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীক নিয়ে জেলা আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এইচ এম আরাফাত হোসেন এবং উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কাজী আসাদুজ্জমান সাহাজাদা এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীক নিয়ে আ.লীগ নেত্রী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আনোয়ারা ময়না, হাঁস প্রতীক নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী শাহানাছ নাজনীন খুকু ও ফুটবল প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ নেত্রী রাজিয়া সুলতানা দুলালী ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন।
স্থানীয় নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে, কলারোয়ায় চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
শ্যামনগর: ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত শ্যামনগর উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ১৭। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৭৯ জন এবং নারী ভোটার রয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ১৩৮ জন। উপজেলার মোট ৮৯টি ভোটকেন্দ্রের ৫৭৩টি স্থায়ী কক্ষ ও ৪৯টি অস্থায়ী কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিন জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করছেন।
এর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আতাউল হক দোলন নৌকা প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জি.এম ওসমান গনি দোয়াত-কলম প্রতীক ও জাতীয় পার্টি মনোনীত অ্যাডভোকেট ডি.এম আজিবর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অপরদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে শ্যামনগর সরকারি মহসীন ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক সাইদ-উজ-জামান সাঈদ টিউবওয়েল প্রতীক, শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান উড়োজাহাজ প্রতীক, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুন্সিগঞ্জ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান অসীম মৃধা টিয়াপাখি প্রতীক, শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক স.ম আব্দুস সাত্তার তালা প্রতীক, শ্যামনগর সরকারি মহসীন ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ফারুক হোসেন চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মিসেস পাপিয়া হক কলস প্রতীক, নুরজাহান পারভীন ঝর্ণা পদ্মফুল প্রতীক, খালেদা আইয়ুব ডলি হাঁস প্রতীক ও মিসেস নাফিজা রাজ্জাক ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন।
স্থানীয় নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, শ্যামনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের আতাউল হক দোলনের বিজয়ের সম্ভাবনা বেশি।
আশাশুনি: ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আশাশুনি উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ৫১৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭ হাজার ৪২৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ৯২।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১১জন প্রার্থী।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন একই দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম পিন্টু।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সাংবাদিক অসীম বরণ চক্রবর্তী, চশমা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এসএম সাহেব আলী, মাইক প্রতীকে কৃষকলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা সেলিম, টিয়াপাখি প্রতীকে এমডি ফিরোজ আহম্মেদ, উড়োজাহাজ প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা জিএম আক্তারুজ্জামান, তালা প্রতীকে কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিলাল সরকার ও বই প্রতীক নিয়ে লড়ছেন হাইকোর্ট থেকে মনোনয়ন ফিরে পাওয়া সাবেক সেনা সদস্য আনিছুর রহমান।
এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আশাশুনি উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হেনা গাজী ও কলস প্রতীকে লড়ছেন মোসলেমা খাতুন মিলি।
স্থানীয় নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, আশাশুনি উপজেলায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবিএম মোস্তাকিম ও আনারস প্রতীকের শহীদুল ইসলাম পিন্টুর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জ উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ৭০ শত ৬৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯ শত ১৬ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭ শত ৯০ জন। উপজেলার ৭৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাতজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আতাউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে লড়ছেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী এবং আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি শেখ মেহেদী হাসান সুমন।
এদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাকিম (টিয়া পাখি), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডিএম সিরাজুল ইসলাম (মাইক), উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি জিএম জাহাঙ্গীর আলম (উড়োজাহাজ), উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, রেফারি শেখ ইকবাল আলম বাবলু (বই), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল ইসলাম (তালা), নলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সাহেব (টিউবওয়েল) ও মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ (চশমা)।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেবুন্নাহার জেবু (পদ্দ ফুল), ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দিপালী রাণী (ফুটবল), উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি ফারজানা শওকত আফি (হাঁস) ও আফসানা বেগম (কলস)।
স্থানীয় নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, কালিগঞ্জে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সাঈদ মেহেদী ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী মেহেদী হাসান সুমনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
আ’লীগ বনাম আ’লীগ ভোট যুদ্ধ আজ: জেলার সাত উপজেলায় প্রার্থী ৭৯জন, ভোট কেন্দ্র ৫৯৭টি, ছয় স্তরের নিরাপত্তা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/