বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরকীয়ার জের ধরে স্বামীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এক নববধূ। শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলার দক্ষিণ বাঁধাল গ্রামের নজির আহম্মেদ মৃধার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। আহত স্বামী রুমান মৃধাকে (২৮) শনিবার ভোরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রুমানের মা বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে শরণখোলা থানায় পুত্রবধূ কুমকুম আক্তার শিমুর নামে মামলা করেন। পুলিশ অভিযুক্ত নববধূকে (২৫) ভোরে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতার করেছে।
মামলার বাদী আহত রুমানর মা রেনু বেগম জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে ছেলের ঘরে গোঙানির শব্দ শুনতে পান তিনি। বউয়ের কাছে কিসের শব্দ জানতে চাইলে বিড়াল ঝগড়া বাধিয়েছে বলে জানায়। তখন তিনি ও তার স্বামী নজির মৃধা ঘুম থেকে উঠে রুমের দরজা ভেঙে ভেতর ঢুকে দেখেন রুমানকে লেপ দিয়ে ঢেকে রেখেছে পুত্রবধূ। ঘরের মেঝে ও বিছানা রক্তে ভেজা। লেপ সরিয়ে ছেলেকে গলা কাটা অবস্থায় দেখে ভয়ে তারা চিৎকার করতে থাকেন। আশপাশের লোকজন আসার আগেই ঘাতক স্ত্রী কুমকুম আক্তার শিমু ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যায়।
রেনু বেগম জানান, তার ছেলে একটি ইটারন্যাশনাল সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাকরি করে। রুমান যশোর কর্মরত অবস্থায় নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাটাকাল এলাকার শেখ হারুন অর রশিদের মেয়ে কুমকুম আক্তার শিমুর সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয়। শিমু তখন ঝিনাইদহ একটি বাইং হাউজে কাজ করতো। একপর্যায় তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় আট মাস আগে তারা নিজেরাই বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই শিমু তাদের বাড়িতেই থাকে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনোদিন ঝগড়াঝাঁটি হয়নি।
ছেলে বাড়িতে না থাকলে বউ গোপনে মোবাইলে কথা বলতো। তাদের ধারণা বউয়ের অন্য কারো সাথে সম্পর্ক আছে। তার ছেলেকে হত্যা করে বউ হয়তো অন্য প্রেমিকের সাথে যেতে চেয়েছিল।
অপরদিক স্ত্রী কুমকুম আক্তার শিমু অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে তার স্বামী যৌতুকের জন্য তাকে মারধর করতো। নির্যাতন সইত না পেরে স্বামীকে গলা কেটে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
শরণখালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার জানান, ঘটনায় ছেলের মা মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি স্ত্রী কুমকুম আক্তার শিমুকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
স্বামীর গলায় ছুরি চালালো নববধূ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/