Site icon suprovatsatkhira.com

শার্শায় সড়কে পা হারানো শিশু নিপার সু-চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণে ৫ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম

এম ওসমান, বেনাপোল: যশোরের শার্শায় সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো শিশু মিফতাহুল জান্নাত নিপার সু- চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণসহ ৫ দফা দাবিতে অনশনের আল্টিমেটাম দিয়েছে শার্শায় সাংবাদিকরা। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় শার্শা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভায় আগামী ৭ এপ্রিল এ অনশনের ঘোষণা দেওয়া হয়। সভায় সাংবাদিকরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, আগামী ৭ এপ্রিলের আগে প্রশাসনের দেওয়া প্রতিশ্রতি পূরণ করতে ব্যর্থ হলে শার্শা উপজেলা সাংবাদিক সমাজ যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে ৫ দফা দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করবে।
শার্শা উপজেলা রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি প্রভাষক আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, শার্শা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল মুন্নাফ, সাধারণ সম্পাদক ইয়ানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান গনি, রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম, যুগ্ম সম্পাদক দেবুল কুমার দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা, বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ কাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক, বাগআঁচড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আশাদুজামান নয়ন, বেনাপোল প্রেসক্লাবের দফতর সম্পাদক শেখ নাসির উদ্দিন, আনিসুর রহমান, আশরাফ আলী, জহিরুল ইসলাম রিপন, মো: শাওন, নাসির উদ্দিন, আসাদুর রহমান, আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম, জহিরুল হক, রাকীব আহম্মেদ, আব্দুল জব্বার, আলী হোসেন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (২০ মার্চ) জিপ গাড়ির চাপায় নাভারণ বুরুজ বাগান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী মিফতাহুল জান্নাত নিপার শরীর থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় তার সাথে থাকা স্মৃতি ও রিপা নামে আরো দুই স্কুল ছাত্রী আহত হয়।
প্রসঙ্গত, যশোরের শার্শার নাভারনে জিপের চাপায় পা হারানো মেধাবী স্কুল ছাত্রী নিপাকে প্রশাসন থেকে উল্লেখ্যযোগ্য সহযোগিতা করা হচ্ছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার চিকিৎসা খরচসহ সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও ভুক্তভোগী পরিবারটিকে উল্লখ্যযোগ্য কোন আর্থিক সহযোগিতা পায়নি। আর চালককেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ আটক করতে পারেনি। দুর্ঘটনায় পা হারানো নিপা একজন সাংবাদিক পরিবারের সন্তান।
আশ্বাস মিললেও চিকিৎসা খরচসহ প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা পাচ্ছে না নিপা। ঘটনার দিন জেলা প্রশাসক নিজে ও নাভারনে শিক্ষার্থীদের এক মানববন্ধনে শার্শা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল চিকিৎসাসহ ও আর্থিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। কিন্তু ঘটনার ১০দিন পার হলেও তারা সেই অর্থে আর্থিক সহযোগিতা করেননি। জেলা প্রশাসন থেকে মাত্র দশ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে দেড় ১ লাখ টাকা। কৃত্রিম পা লাগিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version