মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আপত্তিকরভাবে চলাচলের সময় আটক কলেজ ছাত্রীর সাথে তার প্রেমিকের বিয়ে সম্পন্ন করার রায় দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসান উল্লাহ শরিফী। অবশ্য রায় ঘোষণার পর ওই যুবক পালিয়ে গেলেও পরে তাকে ধরে এনে গত বৃহস্পতিবার পৌর বিবাহ রেজিস্ট্রি কাজী মাহবুবুর রহমানের কার্যালয়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে ঘটনার সময় আটক যুবক কর্তৃক থানার এএসআই রুহুল আমীনকে মারপিটের ঘটনা এড়িয়ে গেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে পৌর এলাকার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আজিজ কসাইয়ের ছেলে হাফিজুর রহমানের সাথে একই এলাকার এক কলেজ ছাত্রীকে আটক করা হয়। আটকের পূর্বে যুবক হাফিজুর এসআই রুহুল আমীনকে কিল-ঘুসি মারে। প্রথমে তাদেরকে নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে আটক রেখে পরে তাদেরকে নেয়া হয় থানা হেফাজতে। সন্ধ্যার পর থানা থেকে পুনরায় তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিচারক রায় ঘোষণা করে বলেন, পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রহমান ও আজিম হোসেনের মাধ্যমে আটকদের বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। আদালতের রায় ঘোষণা শেষে যুবক হাফিজুর রহস্যজনকভাবে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পৌর কাউন্সিলর আজিম হোসেন বলেন, হাফিজুরকে ধরে উভয় পরিবারকে ডেকে তার সাথে ওই কলেজ ছাত্রীর বিবাহ দেয়া হয়েছে।
মণিরামপুরে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে আটক প্রেমিক যুগলের বিয়ে
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/