ন্যাশনাল ডেস্ক: পরিবেশ বিধ্বংসী কালো ধোঁয়া, কলকারখানার বর্জ্য মাটি-পানিকে দূষণ করছে প্রতিনিয়ত। দিন দিন কমছে গাছপালা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কার্বন নির্গমন। ফলে ধীরে ধীরে বৈচিত্র্য হারাচ্ছে বাংলার ষড় ঋতু। প্রকৃতির সাথে মানুষের বিরূপ আচরণের কারণেই এমনটা ঘটছে বলে মত পরিবেশবিদদের। পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনও এর জন্য দায়ী বলে মনে করেন তারা।
ঋতুরাজ বসন্তে কোকিলের কুহু কুহু ডাক নেই। হেমন্তের সকালে সূর্যকে দেখে ঘাসের ডগায় হাসে না শিশির কণা। কালবৈশাখী ছোবল মারে না গ্রীষ্মের প্রখরতাকে। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে প্রতি দুই মাসকে এক একটি ঋতু হিসেবে গণনা করা হলেও এখন তা বৈচিত্র্যহীন। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে প্রতিটি ঋতু। পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যের অনেক দেশের মতো শীত-গ্রীষ্ম প্রধান হয়ে উঠছে বাংলাদেশের ঋতুচক্র।
পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘আবহাওয়ার স্বাভাবিক ব্যবহারটা নেই। এটার পরিবর্তনের মূল কারণ হচ্ছে, কার্বনডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বাড়ার ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ছে। তাতে বাতাসের সার্কুলেশন প্যাটার্ন বদলে যাচ্ছে।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিক রহমান বলেন, ‘বায়ুতে কতখানি বাষ্পীয় জল আছে, বায়ুর চাপ সবকিছুর মধ্যে একটা অগোছালো অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
অসময়ে বৃষ্টি কিংবা অতিবৃষ্টি। ফসলের প্রয়োজন বৃষ্টি, অথচ বৃষ্টিহীন আকাশ। প্রকৃতির এমন রুদ্ররূপ মানুষকে করে তুলেছে অতিষ্ঠ। পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা বলছে, প্রকৃতির ওপর অপ্রাকৃতিক আচরণই এর পেছনের কারণ।
পানি বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, এখন রোগবালাই বাড়বে, ভূমিধস বাড়বে, নদী ভাঙন বাড়বে। এটা যাতে না হয় সেজন্য বিশ্বজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে, গ্রীনহাউস গ্যাস কমাও এবং অভিযোজন মোকাবেলার ক্ষমতা বাড়াও।
পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিক রহমান বলেন, ‘জনগণকে বাঁচাতে হলে উন্নয়ন করতেই হবে। কিন্তু সেই উন্নয়ন যেনো হয় পরিকল্পিত। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে চাইলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বৈচিত্র্য হারাচ্ছে বাংলার ষড় ঋতু
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/