ন্যাশনাল ডেস্ক: ৫ মার্চ ১৯৭১। এদিনেও সারা বাংলায় অব্যাহত থাকে বাঙালির প্রতিরোধ, টঙ্গী শিল্প এলাকায় সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন কমপক্ষে ৪ জন। আহত ২০ জনেরও বেশি। জনতা টঙ্গী ব্রিজের কাঠের অংশ উপড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয় রাস্তা। চট্টগ্রামে বাঙালি-বিহারী সংঘর্ষ এবং সামরিক জান্তার গুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২২ জনে। রাজশাহী এবং যশোরেও মুক্তিকামী জনতার মিছিলে সেনাবাহিনীর গুলিতে হতাহত হয় অনেকে। দুপুরে বায়তুল মোকররম মসজিদের সামনে থেকে ‘বাঁশের লাঠি তৈরি কর-পূর্ব বাংলা স্বাধীন কর’ শ্লোগান নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ বিশাল লাঠি মিছিল বের করে। ঢাকায় এদিন ছাত্রলীগের লাঠি মিছিলে অংশ নেয় স্বত:স্ফূর্ত জনতা। একাত্মতা ঘোষণা করে ডক্টর আহমদ শরীফের নেতৃত্বে শহীদ মিনারে শপথ নেন ঢাকার লেখক-শিল্পীরা। বাঙালি উপলব্ধি করতে থাকে পাক হানাদারদের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার একমাত্র পথ সশস্ত্র সংগ্রাম।
অগ্নিঝরা মার্চ : একাত্তরের ৫ মার্চ: সামরিক জান্তার গুলিতে বাড়ে মৃতের সংখ্যা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/