মাহবুব আলম, শার্শা (যশোর): যশোরের শার্শায় মিষ্টি কুমড়ার নায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। পোকায় নষ্ট করায় ফলন ভাল হয়নি। তারপরও বাজার মূল্য কম হওয়ায় কৃষকের খরচ উঠছে না। বাজার মূল্য কম থাকায় এ চাষে কৃষক নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এর জের ধরে এ উপজেলায় আগামী বছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ কমে যাওয়ার আশংকা বিরাজ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
মিষ্টি কুমড়া একটি লাভজনক ফসল। অল্প খরচে অধিক মুনাফা হওয়ায় শার্শার কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকে পড়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় মিষ্টি কুমড়ার ব্যাপক চাষ হয়ে আসছিল। উপজেলার সদর, বাগআঁচড়া ও কায়বা ইউনিয়নে এ চাষ বেশি হয়েছে। পাইকারী ব্যবসায়ীরা কৃষকের জমিতে গিয়ে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করতে চাওয়ায় কৃষকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন।
কুমড়া চাষীরা বলছেন, চলতি বছরে এক বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে খরচ হয়েছে ৪-৫ হাজার টাকা আর বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ হাজার টাকা। এ লোকশান কাটিয়ে উঠতে কৃষককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার যদি কুমড়া চাষীদের দিকে একটু নজর না দেয় তাহলে এ চাষ আগামীতে কম হবে। তবে সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে শার্শায় দেশের সব চেয়ে বেশি মিষ্টি কুমড়ার চাষ হবে এমনটাই আশা করা যায়।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৌতম কুমার শীল জানান, শার্শা উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৯০ হেক্টর জমিতে এ মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের চাষ করেছে এবং ফলন খুব ভাল হয়েছে যার জন্য উৎপাদনটাও ভাল হচ্ছে। আড়াই থেকে তিন মাসের মাথায় ২৫-৩০ হাজার টাকা লাভ করতে পারছে। যার জন্য কৃষকের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি হচ্ছে। বাজারে যেহেতু অন্যান্য শীতকালীন সবজি উঠে গেছে, তাই এই মূহুর্তে বাজারে কুমড়ার দাম কিছুটা কম। একই সাথে ফল ছিদ্রকারী মাছি পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি সেক্সফ্রোমন ফাঁদসহ অন্যান্য ফাঁদের মাধ্যমে এ পোকা দমন করার জন্য। কৃষকও আগ্রহ প্রকাশ করছে ব্যবহারের জন্য। তবে আগামী বছর মিষ্টি কুমড়ার চাষ কমে যাওয়ার আশংকা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শার্শার বাজারে মিষ্টি কুমড়ার দাম কম থাকায় কৃষকরা হতাশ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/