যশোর প্রতিনিধি: মণিরামপুরে ইয়াসমিন নামের এক গৃহবধূর লাশ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। লাশ দাফনের প্রায় দু’মাস পর বুধবার দুপুরের দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই খান আব্দুর রহমানের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২২ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নুসরাত জাবীন নিম্মী লাশ ময়না তদন্তের জন্য আদেশ দেন। গত ১০ জানুয়ারি নিহতের স্বামী মতিয়ার রহমান তার স্ত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। তবে ঘটনার সাথে জড়িত কেউ এখনও আটক হয়নি।
জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর উপজেলার ফেদাইপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী দু’সন্তানের জননী গৃহবধূ ইয়াসমিনকে রাতের যেকোন সময় হত্যা করে লাশ সীমানা বেড়ার তারের সাথে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়। নিহতের স্বামীর পরিবারের অভিযোগ হত্যার ঘটনা আড়াল করতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূ ইয়াসমিনের লাশ ঝুলিয়ে রাখাসহ তড়িঘড়ি করে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
নিহতের জা (ভাসুরের স্ত্রী) শামছুন্নাহার জানান, ইয়াসমিনের মৃত দেহের পা মাটিতে ছিল। মাথার চুলে পাতাসহ বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা ছিল। তার গলার বাম পাশে আঙুলের ছাপ ছিল। গোসলের সময় পরণের কাপড়-চোপড়ে ধর্ষণের আলামত দেখা যায়।
নিহতের বড় মেয়ে তুলি জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তার মা রাতের খাবার রান্না করছিল। ওই সময়ে প্রতিবেশি বুলবুল খাঁ তার মাকে ডেকে নিয়ে যায়। তার অভিযোগ, তার মাকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে আলোচিত এই হত্যার ঘটনার এক মাস পর গৃহবধূর স্বামী মতিয়ার রহমান গত ১০ জানুয়ারি একই গ্রামের বুলবুল খাঁ (৩০) ও তার পিতা আমিন উদ্দীনের (৫৩) বিরুদ্ধে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। যার সিআর নং-১৯/১৯। মামলাটি আদালতের নির্দেশে ২১ জানুয়ারি মণিরামপুর থানায় এজহার ভূক্ত হয়। যার মামলা নং-১৬(১)১৯। পরদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খান আব্দুর রহমান লাশ ময়না তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা সিদ্দীকা, থানার ওসি সহিদুল ইসলাম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খান আব্দুর রহমানের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
মণিরামপুরে দু’মাস পর গৃহবধূ ইয়াসমিনের লাশ উত্তোলন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/