Site icon suprovatsatkhira.com

পৌরসভার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা

ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তাঘাটের বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।
দিন যতই যাচ্ছে ভোগান্তিময় সড়কে নাকাল হয়ে পড়েছে পৌরবাসী। জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রের সড়কগুলোর কার্পেটিং, ইট, বালু ও খোয়া উঠে খানাখন্দকে ভরে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় গত তিনদিনের আকস্মিক বৃষ্টিতে সড়কে সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষ।
সাতক্ষীরা পৌর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শহরের আমতলা থেকে টাউনবাজার মোড়, কুকরালি মোড় থেকে কুকরালি বলফিল্ড মোড়, রাজ্জাক পার্ক মোড় থেকে রথখোলার বিল হয়ে জেবুন্নেছা ছাত্রী হোস্টেল, সঙ্গিতা মোড় থেকে কামালনগর সরকারি কবরস্থান হয়ে বাইপাস, পুরাতন সাতক্ষীরার মায়ের বাড়ি মন্দির মোড় থেকে বদ্দিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মোড়, কাটিয়া মোড় থেকে মুছা মসজিদ মোড়, সুলতানপুর ওয়ার্ল্ড ভিশন অফিসের সামনে থেকে পুরাতন সাতক্ষীরা পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা। এসব সড়ক অধিকাংশ সময় জলাবদ্ধ থাকে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কগুলো যে পিচ দিয়ে তৈরি তা বোঝার কোন উপায় নেই। পিচ, ইট, খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়কে যানবাহন তো দূরের কথা হেটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি শহরের মাতৃসদন থেকে টিঅ্যান্ডটি মোড়, নারকেলতলা মোড় থেকে থানাঘাটা ব্রিজ, বাঙ্গালের মোড় থেকে খানপুর চার রাস্তার মোড়ের কাজ চলামান রয়েছে।
পৌরবাসী অভিযোগ করে বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভা ১৯৯৮ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নতি হলেও পৌরসভার সড়কগুলোর এমন করুণ অবস্থা, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। প্রতি বছর আমাদের পৌর কর বৃদ্ধি করা হয়, কিন্তু নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করা হয় না। এসব সড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ রাতদিন চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করছে। নি¤œমানের কাজ ও অপরিকল্পিত সড়ক নির্মাণ করায় সড়কের আজ এই দুরাবস্থা।
থানাঘাটা মোড় এলাকার ইজিবাইক চালক কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ দুর্দশা নতুন নয়। প্রতি বছর বৃষ্টি এলেই আমাদের ভোগান্তি চরমে ওঠে। বর্তমানে নারকেলতলা মোড় থেকে থানাঘাটা ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের জন্য খুড়ে রেখে দেওয়া হলেও কাজের কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া পৌরসভার অধিকংশ রাস্তার কোথাও ভাল দেখতে পাবেন না। মনে হবে ইটের রাস্তা। বৃষ্টি হলে বেশি সমস্যা হয়। রাস্তার উপর কাদা হয়ে যায়। গাড়ি চালাতে বেগ পেতে হয়। যাত্রীরাও বেশি ভাড়া দিতে চায় না। এদিকে দিন যত বাড়ছে পৌরসভার বিভিন্ন কর এসে ঘাড়ের উপর পড়ছে। সব কিছু পরিশোধ করার পরও যদি রাস্তাঘাটের এ দশা হয় তাহলে কি আর বলবো।
কামালনগরের ব্যবসায়ী রহমত হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলেই তো সড়কে বের হওয়া যায় না। সড়কে কাদায় ভরে যায়। হেটে চলা কষ্টকর হয়ে পড়ে। রাস্তার কারণে প্রতিমাসে আয়ের চেয়ে যেন ভ্যান ভাড়া বেশি দিতে হয়। পৌরসভার ভিতরে বাস করার চেয়ে গ্রামে বাস করা ভাল। আপনি যে কোন গ্রামে এর চেয়ে ভাল সড়ক দেখতে পাবেন।
রথখোলা বিল এলাকার কলেজ ছাত্র আশিকুর রহমান বলেন, বর্ষার সময় সড়কটি পানির নিচে থাকে। পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়, কোন কাজ হয় না। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটুপানি ভেঙ্গে বাসায় ফিরতে হয়। এখানকার পানি সরানোর জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের এ অবস্থা।
এ ব্যাপারে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সড়কগুলো সংস্কার করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি লাঘব করতে পৌর মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version