Site icon suprovatsatkhira.com

জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) প্রতিনিধি: জনবল সংকটসহ নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে চলছে খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
দেশের দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ গড়তে খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিশেষ ভুমিকা রাখছে। খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চরম জনবল সংকটের মধ্যেও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন, অধিবাসিদের অধিকতর কল্যাণ ও নিরাপদ অভিবাসনে ভিশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) খুলনা শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে নগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন তেলিগাতিতে ১৯৭৭ সালের ১২.৫১ একর জমিতে বিশ্বব্যাংকের আইডির প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫ সালে জানুয়ারিতে মাত্র চারটি ট্রেড নিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করে বর্তমানে ট্রেডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭টি। প্রতিষ্ঠানটি বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং বৃত্তিমূলক কারিগরি প্রশিক্ষণ দুই ভাগে বিভক্তে তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এসএসসি ভোকেশনালের আওতায় প্রতিষ্ঠানটিতে নবম ও দশম শ্রেণীতে মোট ৫৯৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। অপরদিকে ট্রেকনিক্যাল ট্রেনিং কোর্সে এবং জেনারেল ট্রেনিং কোর্সের আওতায় সেইফ কোর্সে বছরে ৪২০ জন, কম্পিউটার কোর্সে ১১০ জন, মটরড্রাইভিং কোর্সে ৮০ জনসহ বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা কোর্সে ৮০ জন, খুলনা জেলা থেকে প্রাক বহির্গমন ব্যক্তিদের তিন দিনের মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের ১১৩ তম ব্যাচ পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৫ জনকে প্রশিক্ষণ শেষ করেছে।
কিন্তু দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির এই খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মঞ্জুরীকৃত ১৪৫টি পদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক পদই শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে উপাধ্যক্ষ, পাঁচটি চীফ ইন্সট্রাক্টরের মধ্যে তিনটি, সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর ২৬টি পদের মধ্যে ১৬টি, ৪৬টি ইন্সট্যাক্টর পদের মধ্যে ২৮টি শূন্য রয়েছে। সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, প্রধান সহকারি, উচ্চমান সহকারি দুটি পদের মধ্যে একটি, হিসাব রক্ষক, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক চারটি পদের মধ্যে সব, হোস্টেল সুপারের পদটিও শূন্য রয়েছে।
এছাড়া চরম জনবল সংকট আর অবকাঠামো ও আসবাপত্র এবং যন্ত্রপাতির সংকটের মধ্যেও প্রতিষ্ঠানটি তাদের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে আশার কথা হলো প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকার এবং কোরিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় আধুনিকায়নে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম দৃশ্যমান হওয়ার কথা রয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৯৭৭ সালের নির্মিত জরাজীর্ণ একাডেমিক ভবন ভেঙ্গে নতুন দশ তালা বিশিষ্ট ভবন, ডাবল লিফটের দশতলা বিশিষ্ট অডিটোরিয়াম ভবন, ওয়ার্কশপ ভবন, আধুনিক গাড়ির গ্যারেজ, সাবষ্টেশনসহ ব্যাপক পরিবর্তন হতে চলেছে।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মেহেদী হাসান বলেন, দেশের পুরাতন ১১টি টিটিসির মধ্যে এটি অন্যতম ও বৃহত্তম প্রশিক্ষণ প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান। এখানে অবকাঠামোগত সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। আবাসিক ভবন, ওয়ার্কশপ ভবনসহ দীর্ঘদিনের পুরাতন ভবনসমূহ জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠনটির সামনের বাউন্ডারী ঘেষে বিভিন্ন দোকান-পাট নির্মাণ করায় প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও নষ্ট হচ্ছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version