Site icon suprovatsatkhira.com

খুলনার ৫ উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে ১০টি বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ

খুলনা অফিস : খুলনা জেলায় নতুন করে ১০টি বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। এতে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। সারাদেশে প্রায় তিনশ’র মত বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হবে। এর মধ্যে খুলনার ৫টি উপজেলায় একই নকশা মোতাবেক ১০টি বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গণপূর্ত বিভাগ প্রস্তাবিত এসব বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করবে।
জানা যায়, জেলার ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, দাকোপ, ফুলতলা ও দিঘলিয়া উপজেলায় বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভগুলো নির্মাণ করা হবে। প্রত্যেকটি বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ব্যয় বাবদ ৮০ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণের জন্য ৮০ লাখ প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। খুলনার প্রস্তাবিত বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ করার জায়গাগুলোর মধ্যে ২টি জায়গা রয়েছে সরকারের খাস জমি। এছাড়া বাকি ৮টি জমি রয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন। সেক্ষেত্রে ৮টি বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও জমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় হতে পারে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর খাস জমিতে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে ব্যয় হতে পারে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে খুলনার ১০টি বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ ব্যয়ে প্রায় ১৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নকশা ও জমি অধিগ্রহণের ওপর প্রকল্পের ব্যয় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভবনাও রয়েছে। এদিকে সারাদেশে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক বুধবার সকালে নগরীর নূরনগরস্থ গণপূর্ত বিভাগীয় কার্যালয়ে জরুরী সভা করেছেন। সভায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশল মানিক লাল দাসসহ ১১টি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন। খুলনার গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যার জন্য ব্যবহৃত বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার পরিকল্পনা সারাদেশেই করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা জেলার ৫টি উপজেলায় নির্মাণ করা হবে ১০টি বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ। ইতোমধ্যে জায়গাগুলো পরিদর্শনের করা হয়েছে। ১০টি বধ্যভূমির মধ্যে মাত্র ২টি বধ্যভূমি সরকারি খাস জমিতে। অন্যগুলো ব্যক্তিগত মালিকানায়। সে ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জমি অধিগ্রহণ করা হবে। প্রত্যেকটি বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য ৮০ লাখ ও জমি অধিগ্রহণের জন্য ৮০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে নকশা ও জমি অধিগ্রহণের ওপর ভিত্তি করে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ব্যয়ে পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি আরও বলেন, বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ১১টি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীদের নিয়ে বুধবার সভা করেছেন। খুব দ্রুত জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করতে হবে। এরপরই বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version