খায়রুল আলম সবুজ, খলিষখালী (পাটকেলঘাটা): পাটকেলঘাটার খলিষখালীতে গ্রামগুলোতে আমের মুকুলে ভরে গেছে। মুকুলের মৗ মৌ গন্ধ এখন চারিদিক। গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত আম চাষী ও গাছ মালিকরা। এদিকে বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষিবিদ ও গাছের মলিকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, খলিষখালীর কাশিয়াডাঙ্গা, চোমরখালী, রাঘবকাটী, গণেশপুর, বাগমারা, টিকারামপুর, এনায়েতপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে মুকুলে সেজেছে আম গাছ। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এই মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। এখানকার বাতাস এখন আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরপুর। আম গাছগুলো হলদে রঙ ধারণ করে সেজেছে এক অপরুপ সাজে। যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে এই ইউনিয়নে এবার আমের ফলন ভালো হবে বলে মনে করছেন আম চাষী ও গাছ মালিকরা।
বাগমারা গ্রামের আম চাষী কামরুল শেখ বলেন, পুরানো ও নতুন সব ধরণের গাছেই মুকুল এসে গেছে। আবহাওয়া প্রতিকূল না হলে এবার আমের ভালো ফলন হবে। গণেশপুর গ্রামের আম চাষী বাবলা সরদার বলেন, তার পাঁচ বিঘা জমিতে আমের বাগান আছে। যদি ঝড়-বৃষ্টিতে মুকুলের কোন ক্ষতি না হয় তিনি প্রায় দুই লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।
খলিষখালী ৬, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ডের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল ইসলাম বলেন, আমের মুকুল ও কড়ির জন্য আবহাওয়া এখন অনুকূলে। শত শত আম গাছের মুকুল দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে। যে বাগানগুলোতে মুকুল এসেছে সে সব বাগান মলিকরা পরিচর্যাও শুরু করেছেন। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে আমের বাম্পার ফলন হবে। তিনি আরও বলেন, বিষমুক্ত ফল উপহার দেওয়ার জন্য চাষি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করবে কৃষি বিভাগ।
খলিষখালীতে আমের মুকুলে ভেসে বেড়াচ্ছে মৌ মৌ গন্ধ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/