অনেকটা পথ হেটে অবশেষে আঁধারের ভ্রুকুটি ভেঙে
পৌছে গেছি একুশ শতকের বেলা ভূমে-
যুদ্ধ যৌবন অথবা বিপন্ন সময় ফেলে ৫২, ৬৯, ৭১ কিংবা স্বৈরাচারের রক্ত চক্ষু করে উপেক্ষা
এই শতকের মাহেন্দ্র ক্ষণে, ভিড়েছে জীবন ভেলা-
আমাদের স্বপ্নের সবুজ জমিন শুধু পতাকা শোভিত ভুখন্ড নয়,
“জনতার সামনে প্রশান্তির মানচিত্র-সুরের মুর্ছনায় উচ্চারিত “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি”।
আমি ও আমরা বাঙালী
বুকের গভীরে পুষে রাখি স্বশ্রদ্ধ প্রেম-উষ্ণতা-
স্বাধীনতার মন্ত্র যাদুময় কন্ঠের সংগ্রামী আহবান, সোহরাওয়ার্দির সবুজ ঘাসের গালিচায় চরণাঘাত,
শব্ধ অথবা কথার ফুলঝুরিতে নয় জেলের গরাদের মাঝে কেটেছে সময়
যৌবনের সবচেয়ে মধুময় দিন গুলি, ত্যাগ এবং কোরবানির দামে পেয়েছি বাংলা প্রিয় মাতৃভূমি।
আলোকের পথে স্বপ্ন রাঙা জীবনের মোহনায় স্নিগ্ধ সকাল মোহময় বিকেল কিংবা জ্যোস্না ঢালা রাত্রির বাসর
পুলকিত আহবান ধ্বনিত হয় বাতাসের কানে
মন্ত্রমুগ্ধ স্রোতা হয়ে বসে থাকি যাদু মাখা মুখের দিকে,
আমাদের সব আশা নিরাশার একটি বিন্দু-একটি মোহনায় মিলে মিশে একাকার
চেতনার শত সহস্র বিভাজনের মাঝে ঐক্যের মূর্ত প্রতীক, “মানবতার জননী”।
আমরা হেটেছি, হাটতেই থাকি শাপদ বন্ধুর পথে-জলন্ত অগ্নী গোলকের স্ফুলিঙ্গ মাড়িয়ে
রাজপথের অলি গলি,
ক্ষুধিত আত্মার কাছে নরম মাংশ পোড়ার গন্ধ, বিভৎস নারকীয়তার উল্লাস,
মাঠে ময়দানে স্বকন্ঠ চিৎকারে কম্পিত হয় জনপদ,
“ভয়ে বিহবল সজন হারা মানুষকে বুকে ধরে বিস্মৃত হয় অতীত
১৫আগষ্ট-২১এর গ্রেনেড”।
অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে…
স্বপ্ন রাঙা জীবনের মোহনায় ভীড়েছে তরী,
কান্ডারী? মোরা দাড় টানি তবু ও ক্লান্তি নেই নিরবধি।
কবিতা: স্বপ্ন রাঙা জীবনের মোহনায়
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/