Site icon suprovatsatkhira.com

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা বিএমএ’র মতবিনিময়: চিকিৎসা ক্ষেত্রে নেই গবেষণা, জনবল সংকট প্রকট

dav

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় জেলা বিএমএ’র সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাংবাদিক ও চিকিৎসকরা জণগনের চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে বিভিন্ন সমস্যা ও ডাক্তারদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করেন।
সভায় জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বাচিপের সভাপতি সাবেক সাংসদ ডা. মোখলেছুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, শিশু বিশেষজ্ঞ মো. শামসুর রহমান, ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে গবেষণা কমে গেছে। রোগ কেন হচ্ছে সেটা নিয়ে কোন চিন্তা নেই। ডাক্তাররা শুধু দেখছেন কোন পরীক্ষা কোথায় করালে কত পার্সেন্ট কমিশন পাবে। অনেক সময় ঠিকমত ডাক্তারও পাওয়া যায় না।
এসবের ব্যাখ্যা দিয়ে চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা নিজেদের দায়িত্ব এবং সার্ভিস সময়ের কথা মাথায় না রেখে অনেক বেশি সেবা দিচ্ছি। কিন্তু যেখানে তিনটা শিফটে ডাক্তার প্রয়োজন ৬০ জন সেখানে ডাক্তার আছে চারজন। ৬শ রোগী দেখছেন চারজন ডাক্তার, একজন রোগীকে কতক্ষণ করে সময় দিতে পারবে একটা ডাক্তার? কোয়ালিটি সেবা দিতে গেলে কোয়ান্টিটি বাড়ে না আবার কোয়ান্টিটি বাড়াতে গেলে কোয়ালিটি থাকে না। মানুষ কিন্তু জানতে চায়না, একজন ডাক্তার কতজনকে সেবা দিচ্ছে। তারা সর্বোচ্চ সেবার মান চায়। আর এটাই স্বাভাবিক। একজন ডাক্তার ইমার্জেন্সিতে, তাকেই রাতে কলে যেতে হচ্ছে, আবার সেই ডাক্তারকে অপারেশন করতে হচ্ছে। একজন মেডিকেল অফিসার দিনে ২শ রোগী দেখলে সে কিভাবে সন্ধ্যায় আবার রোগী দেখতে পারে। আমরা উন্নত সার্ভিস দিতে চাই। আর এজন্য সরকারের সাহায্য চাই। সদর হাসপাতালে যে সকল রোগী ভর্তি হয় তার বেশিরভাগ ক্রিটিক্যাল। তাদের অবশ্যই সঠিক চিকিৎসার স্বার্থে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে হয়। আমরা মানি কিছু কিছু ডাক্তারের জন্য চিকিৎসা সেবা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা চিকিৎসকরাও তার প্রতিবাদ জানায়। আমরা নোটিশ দিয়েছি সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত কোন সরকারি ডাক্তার প্রাইভেট সেবা দিতে পারবে না। যদি কোন সরকারি ডাক্তার প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখে তাহলে শুধু ওই ডাক্তার না ওই ক্লিনিক মালিককেও একই শাস্তির আওতায় আনা হবে।
সারা বাংলাদেশে চিকিৎসক সংকট রয়েছে উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, চিকিৎসক নিয়োগ দিলে সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে অনেক ইকুপমেন্ট পড়ে আছে যা জনবলের অভাবে চালু করা যাচ্ছে না। মেডিকেল কলেজে পরীক্ষা হলে পরের দিনই তার ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্ত পাবলিক সার্ভিস কমিশন কেন একজন ডাক্তার পাশ করার পরেও চার বছর সময় নিচ্ছে নিয়োগ দিতে। সকল ইউনিটে পর্যাপ্ত ডাক্তার থাকলে আমরা চিকিৎসা সেবার মান সর্বোচ্চ করতে পারব।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version