ডেস্ক রিপোর্ট: পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিকদের প্রকাশ্যে শহরের মধ্যে হত্যার হুমকি দিলেন শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারি কাম হিসাব রক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল। রোববার রাত ৮টা ৩১ মিনিটে ০১৯৬৭৫৪৬৬৯৬ নাম্বারের মোবাইল ফোন থেকে দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদকে ফোন করে ২ মিনিট ৭ সেকেন্ড সময় ধরে প্রদীপ কুমার মন্ডল হত্যার হুমকি দিতে থাকেন। এ সময় অফিসে অন্যান্য স্টাফ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রদীপ কুমার মন্ডল সংবাদ প্রকাশ করায় ওই সাংবাদিককে শহরের যেখানে পাবেন সেখানে প্রকাশ্যে লোকজনের সামনে হাত-পা ভেঙ্গে, পেটের নাড়ি বের করে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন। এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৮মিনিটে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য ও বাংলা ভিশনের সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামানকে ০১৭৩৬৫০০৫৬৪ নাম্বারের মোবইল ফোন থেকে ২ মিনিট ৫২ সেকেন্ড সময় ধরে ধমকাতে থাকেন প্রদীপ কুমার মন্ডল। এসময়ও প্রদীপ কুমার মন্ডল তাকে হত্যা করার হুমকি দেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে শহরের সুলতানপুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী দিয়ে শায়েস্তা করা হবে বলে কথোপকথনে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ‘দৈনিক পত্রদূত’ পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘৫ কোটি টাকা! হেসেই উড়িয়ে দিলেন শ্যামনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারি প্রদীপ কুমার মন্ডল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি পরবর্তীতে সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে গাত্রদাহ শুরু হয় প্রদীপের। তারপর থেকে তিনি সাংবাদিকদের নামে মামলা ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
এদিকে, এ ঘটনায় তীব্র নিন্দাসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদে, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন, জি.এম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণ মোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ।