Site icon suprovatsatkhira.com

শ্যামনগরে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট: আমার স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে শ্যামনগরের বাদুড়িয়া মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম ময়না। আমি এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিলেও তা গ্রহণ করেননি শ্যামনগর থানার ওসি। আমি রবিউল ইসলামের শাস্তি চাই।
শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের বাদুড়িয়া গ্রামের আবদুল খালেক। তিনি পেশায় একজন ইটভাটা শ্রমিক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ভাটায় কাজ করার সুবাদে তিনি বিভিন্ন সময়ে বাড়ির বাইরে থাকেন। এ সময় ১১ বছরের মেয়ে খায়রুননেসার লেখাপড়ার জন্য বাদুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম ময়নাকে গৃহশিক্ষক নিয়োগ করেন তিনি। অভিযোগ করে তিনি বলেন, তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে শিক্ষক ময়না তার স্ত্রী রোজিনা খাতুনের সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি তার পঞ্চম শ্রেণির মেয়ে খায়রুননেসার নজরে এলে মা ও মেয়ে দুজনেই তাকে পড়াতে আসতে নিষেধ করে দেয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও রবিউল ইসলাম ময়না তার বাড়িতে আসতে থাকে এবং তার স্ত্রী রোজিনার সাথে একান্ত স্থানে সময় কাটাতে চায়। এ নিয়ে তার সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হলে রবিউল আমার স্ত্রীর দেহের লজ্জানক অঙ্গের ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। পুরো বিষয়টি তার মেয়ে কানে শুনেছে এবং চোখেও দেখছে অনেক কিছু। এ সব ঘটনার পর লোকলজ্জার ভয়ে স্ত্রী রোজিনা গত ১০ ফেব্রুয়ারি গলায় শাড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। এর আগে সে একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছে। এতে রবিউল ইসলাম ময়নাকে চরিত্রহীন লম্পট বলে আত্মহত্যায় তার সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেছে রোজিনা। অথচ পুলিশ এর কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না।
আবদুল খালেক বলেন, এ ঘটনার পর রবিউল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। অপরদিকে তার পুলিশ কনস্টেবল ভাইয়ের সহায়তা নিয়ে যাতে মামলা না হয় সে জন্য শ্যামনগর থানায় প্রভাব সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, মামলা নিয়ে শ্যামনগর থানায় গেলে ওসি তা রেকর্ড করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এমনকি এ ঘটনায় উল্টো তাকে আসামি করে মামলায় হুমকি দিয়েছেন ওসি। এরপর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে খালেককে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোদেরও জীবন শেষ করে দেওয়া হবে।
মামলা হয়নি, তার ওপর তাকে আসামি করা হবে এমন হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন খালেক।
খালেক বলেন, তার মেয়ে খায়রুননেসা ও চার বছরের ছেলে রাকিব এখন শুধু মা মা করছে। মাকে তারা ফিরে পাবে না সত্য, কিন্তু বিচার কি পাবে না তারা- এই প্রশ্ন রাখেন আবদুল খালেক।
তিনি এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version