শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণে বিষপানে মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টার জন্য প্ররোচনাদাতা হিসেবে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করলেন তদন্ত কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডলের নিকট লিখিত অভিযোগটি দেওয়ার পর তিনি জরুরী তদন্ত করার নির্দেশ দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে চলতে থাকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা। ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় ক্লাস করতে আসায় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলেয়া পারভীন তাকে ক্লাসে ঢুকতে না দিয়ে ছাড়পত্র দিয়ে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এবং উপজেলার বসতপুর মাদ্রাসার ইংরেজী প্রভাষক মুনছুর আলীসহ নিজ মাদ্রাসার আরও তিনজন শিক্ষককে ছাত্রীর বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন লিখিত অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য। যে কারণে নিরুপায় হয়ে পুনরায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবারও একটি লিখিত অভিযোগ করেন ছাত্রীর পিতা। অভিযোগের অনুলিপি স্থানীয় সংসদ সদস্যের নিকট পাঠানো হয়।
অভিযোগে জানা যায়, শার্শা উপজেলার নাভারণ মহিলা আলিম মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে সহকারী শিক্ষক এসএম রিজাউল বকুল অনুমান ভিত্তিক বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে শ্রেণী কক্ষে ছাত্রীদের কাছে কটাক্ষভাবে বর্ণনা করাসহ বিভিন্নভাবে কৈফিয়ৎ তলব, অন্য মেয়েদের সামনে তার সাথে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার, বিভিন্ন ধরনের অপমানজনক কথাবার্তা বলাসহ নানারকম আচরণ করার কারণে নিজকে অপমানিত বোধ করায় সোমবার মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে অন্যদের অজান্তে বিষপান করে। তাৎক্ষনিক বাড়ির লোকজন জানতে পেরে নাভারণ-বুরুজবাগান সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করায় এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যায়।
অভিযুক্ত শিক্ষক এস এম রিজাউল বকুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়, সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তদন্তকারী কর্মকর্তা শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চৌধুরী হাফিজুর রহমান জানান, ওই ছাত্রী ও সহকারি শিক্ষক এস এম রিজাউল বকুলের বক্তব্য পৃথকভাবে শোনার পর জানা যায় ছাত্রীর অভিযোগ সব সত্য নয়।
মাদ্রাসা ছাত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা, শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/