Site icon suprovatsatkhira.com

বারাকপুর সন্ন্যাসীর ঘাটের দুই প্রান্ত থেকে ইজারা উত্তোলন, জনমনে ক্ষোভ

ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন বারাকপুর সন্ন্যাসীর ঘাটের উভয় পাশে ইজারা আদায় করছে দুই পক্ষ। নিয়মমাফিক এক পক্ষ ইজারা আদায় করে আসছিলো। হঠাৎ করে বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ঘাটের অপর প্রান্ত থেকে অন্য একজন ইজারা তুলছে। বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ এবং ইজারা আদায়কারীদের মধ্যে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। সৃষ্ট সমস্যাটি দিঘলিয়া থানা পুলিশ দায় এড়াতে তাদের বিষয় নয় বলে এড়িয়ে গেছে।
জানা গেছে, ভৈরব নদীর বারাকপুর সন্ন্যাসীর খেয়াঘাটটি খুলনা জেলা পরিষদ নিয়মতান্ত্রিক জেলা মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতিকে ইজারা প্রদান করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায়র জন্য ঘাটটির ২০০৯ সালে ইজারা আদায়কারী হিসাবে সুবহান খানকে দায়িত্ব দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতি। আদায়কারী ঘাট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণ পাওয়ায় সমিতির জেনারেল মিটিংয়ে বিষয়টি তোলা হলে সমিতি সর্বসম্মতিক্রমে নতুন করে আদায়কারী হিসাবে শর্ত সাপেক্ষে হাসানকে দায়িত্ব প্রদান করে।
বর্তমান ইজারা আদায়কারী হাসান খান জানান, দীর্ঘ চার মাস ইজারা আদায় করার পর বুধবার থেকে হঠাৎ করে ঘাটটির অপর দিঘলিয়ার বারাপুর বাজার ঘাট প্রান্ত থেকে নতুন করে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সুবহান খান ইখলাজকে দিয়ে ইজারা তুলছে। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানায় সোবহান খানের স্ত্রী নার্গিস, তার ভাই ভুলু, এবং সোবহানের ছেলে রানা খানের নামে একটি জিডি করা হয়েছে (যার নং ৫৩৫, তাং ১৩/২/১৯)। এদিকে ঘাটের দুই প্রান্ত থেকে টোল আদায় করায় সাধরণ মানুষ নিরুপায় হয়ে পড়েছে। ঘাটের দুই প্রান্তের যাতায়াত কারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্ত ক্ষয়ি সংঘর্ষের আশংকা দেখে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মাহমুদুল আলম খোকন জানান, এক কোটি ৬ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৮০ টাকার আত্মসাৎ করায় পুর্বের ইজারা আদায়কারী সোবহান খানকে বাদ দিয়ে নতুন করে হাসানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, হঠাৎ করে বুধবার থেকে সোবহানের স্ত্রী এবং তার পুত্র লোকজন দিয়ে অবৈধভাবে ইজারা আদায় করছে। বিষয়টি দিঘলিয়া থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version