খায়রুল আলম সবুজ, খলিষখালী (পাটকেলঘাটা): চলতি বোরো মৌসুমে পাটকেলঘাটার খলিষখালী ইউনিয়নে বোরো ধানের চারার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিক দামের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি দামেও চারা ক্রয় করতে পারছেন না চাষীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরে র্দীঘ সময় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে অধিকাংশ চাষীর বীজ তলা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে এলাকার বোরো চাষীরা। এতে থমকে দাড়িয়েছে বোরো চাষ। অন্য বছরের তুলনায় এবার বেশি বীজতলা তৈরি করেছিল কৃষকরা। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। বীজতলা রক্ষায় কৃষি কর্মকতাদের পরার্মশ ও কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন লাভ হয়নি।
ইউনিয়নের রাঘব কাটি গ্রামের বোরো চাষী আলমগীর মোল্ল্যা জানান, তিনি তিন কাঠা জমিতে বীজ তলা তৈরি করেছিলেন। তীব্র শীতের কারণে বীজ তলার প্রায় অর্ধেক চারা নষ্ট হয়ে গেছে।
টিকারামপুর গ্রামের মুহাম্মদ কামালউদ্দীন জানান, প্রথমে তীব্র শীতে তার বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। পরে আবার অধিকমূল্যে বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরি করেছিলেন। তারপরও চারা মরে গেছে।
বড় গাছা গ্রামের অভিজিৎ মন্ডল জানান, তিনি সাত কাটা জমিতে বীজতলা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু অর্ধেক চারা মরে গেছে। পরে বাইরে থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকার চারা কিনে রোপণ করেছেন।
এ ব্যাপারে খলিষখালী ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলাম বলেন, এ বছর খলিষখালী ইউনিয়নে তীব্র চারা সংকটের কারণে বোরো ধানের আবাদ করতে বিলম্ব হচ্ছে। কৃষকরা পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে চারা সংগ্রহ করে বোরোর আবাদ করছে। তীব্র শীতের কারণে বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা সব রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
খলিষখালীতে চারা সংকটে বোরো চাষীরা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/