Site icon suprovatsatkhira.com

অভিভাবক শূন্য শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সেবা ব্যাহত

SAMSUNG CAMERA PICTURES

গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর: বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ উপজেলা ‘শ্যামনগর’। প্রায় ৫ লক্ষ মানষের বসবাস হলেও মৌলিক চাহিদার অন্যতম স্বাস্থ্য সেবার বেহাল দশায় এখানকার মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত হওয়ার পাশাপাশি এখানে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। আইলা বিধ্বস্ত অবহেলিত এ জনপদের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
উপজেলার ভূরুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকির সানা শনিবার স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কোনো প্রকার সেবা পাননি বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা।
হাসপাতালটি ২০০৮ সালের ১৫ মে ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও অদ্যাবধি সুচিকিৎসা পাননি এলাকার মানুষ।
শ্যামনগর হাসপাতালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বেড ছাড়াও মেঝেতে রয়েছে শতাধিক রোগী। তাদের কাছে জানতে চাইলে সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে আক্ষেপের সাথে জানান অনেকেই। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সুবিধা থাকলেও লোকবলের অভাবে অকেজো হয়ে পড়ছে এসব। এক্সরে মেশিন থাকলেও রয়েছে অধিকাংশ সময় থাকে অকেজো। হাসপাতালটিতে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় গরীব রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিকসহ জেলা শহরে ছুটতে হয় প্রতিনিয়ত। পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সব ধরণের সুবিধা থাকলেও সেগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।
বর্তমানে সার্জারি ডাক্তারের অভাবে বন্ধ আছে সার্জারি বিভাগ। গরিব রোগীদের অধিক টাকা ব্যয় করে সিজার করতে হচ্ছে পার্শ¦বর্তী ক্লিনিকগুলোতে। সার্জারি বিভাগ ছাড়াও বর্তমানে শূন্য রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা (টিএইচএ) এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসারের (আরএমও) পদ। এতে অবিভাবকহীন হয়ে পড়েছে শ্যামনগর হাসপাতালটি। রোববার কৈখালী খেকে আসা দিনমজুর সিদ্দিক হোসেন বলেন, অনেক দিনে কষ্টে অর্জিত ৬০০০ টাকা নিয়ে এসেছিলাম আমার মেয়েকে সিজার করতে। কিন্তু শ্যামনগর হাসপাতালে এসে দেখি কোনো ডাক্তার নেই। তিনি আরো বলেন, পাশ্ববর্তী একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলাম কিন্তু সেখানে যে পরিমাণ টাকা চেয়েছে তা আমার কাছে থাকা টাকার তিনগুণ। এসময় তাকে ব্যাপক হতাশাগ্রস্ত দেখা যায়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে থাকা ব্রাদার আব্দুল মজিদ বলেন, আপাতত কেউ হাসপাতালের দায়িত্বে নেই। তবে মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক স্যার রাউন্ড দিচ্ছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version