যশোর প্রতিনিধি: যশোর শহরের মুজিব সড়কস্থ ঈদগাহ ময়দানের পূর্বপাশে আমদানিকারক ও মটর পার্টস ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম সাফা (৩৬) হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতর ভাই জাহিদুল ইসলাম কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। নিহত সাফা শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার অন্তর্গত ধান্যখোলা উত্তরপাড়া গ্রামের নবীছ উদ্দিন মোড়লের ছেলে। জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে দায়েরকৃত মামলায় অজ্ঞাত ৩-৪জন উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।
জাহিদুল ইসলাম এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার ভাই মহিদুল ইসলাম ওরফে সাফা যশোর শহরের পশ্চিম বারান্দী পাড়া খালদার রোডের এক বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার এইচএন নামক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মোতালেব হোসেন টুটুলকে মোটর সাইকেলযোগে শহরের মুজিব সড়কস্থ ঈদগাহের পূর্ব পার্শে¦ মাসুদ কম্পিউটার দোকানের সামনে আসেন। সন্ধ্যা আনুমানিক পৌনে ৭ টায় মোটর সাইকেল মাসুদ কম্পিউটার দোকানের সামনে পৌঁছালে সাফা মোটর সাইকেল থেকে নামার সাথে সাথে ওৎ পেতে থাকা দু’জন যুবক তার ভাইয়ের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে দ্রুত সটকে পড়ে। তার ভাইয়ের চিৎকারে কর্মচারী মোতালেব হোসেন টুটুল মালিক সাফাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ভর্তির কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানা, ডিবিসহ পুলিশের কয়েকটি টিম মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার পর ঘটনাস্থলে যান। সেখানে মাসুদ কম্পিউটার দোকানের দক্ষিণ ও উত্তর পাশে দোকানে লাগানো সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। তারা সিসিটিভিতে দেখতে পান মাসুদ কম্পিউটার দোকানের সামনে সাফাকে ২০-২২ বছরের দু’জন যুবক যাদের পরনে সাদা ও লাল রংয়ের শার্ট পরিহিত। তারা ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত মুজিব সড়ক থেকে দড়াটানার দিকে দ্রুত দৌঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ মঙ্গলবার রাত থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়।
কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান সাংবাদিকদের জানান, হত্যাকারী যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার হতে হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকান্ডের ঘটনা ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও পালিয়ে যাওয়া দুই হত্যাকারীকে গ্রেফতার কিংবা সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
যশোরে ব্যবসায়ী হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/