যশোর প্রতিনিধি: যশোরে মোটরপার্টস ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম সাফা (৩৭) হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক ঘাতক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে দুই লাখ টাকার চুক্তিতে ভাড়াটিয়া কিলার হিসেবে সাফাকে খুন করে। রোববার (৬ জানুয়ারি) রাতে শহরের শংকরপুর এলাকা থেকে এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার দুজন হলো- শহরের শংকরপুর ছোটনের মোড় এলাকার আকরাম মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা (১৯) ও তার সহযোগী একই এলাকার লিটন বাবুর ছেলে রাকিব (১৯)।
সোমবার (৭ জানুযারি) দুপুরে বিফ্রিংকালে যশোর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই কিলারকে সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে রানাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর এক কিলার পলাতক রয়েছে। তাকেও খোঁজা হচ্ছে। রানার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার সহযোগী রাকিবকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
তিনি আরও জানান, গত ৪ জানুয়ারি মহিদুল ইসলাম সাফা হত্যা মামলা কোতয়ালি থানা থেকে ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম ও আইটি শাখার এসআই মফিজুর রহমান প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যাকারীদের সনাক্ত করে। এরপর রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী রানা ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে শহরের গাড়ীখানা রোডের নির্বাচনী প্রচারণা অফিসের পিছনে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে হত্যকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় যশোর শহরের মুজিব সড়কস্থ ঈদগাহ ময়দানের পূর্বপাশে মাসুদ কম্পিউটারের সামনে আমদানিকারক ও মোটরপার্টস ব্যবসায়ী মহিদুল ইসলাম সাফাকে (৩৭) গলায় ছুরি মেরে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল মাসুদ কম্পিউটার দোকানের দক্ষিণ ও উত্তর পাশে দোকানে লাগানো সিসি টিভির ফুটেজ পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। তারা সিসি টিভিতে দেখতে পান মাসুদ কম্পিউটার দোকানের সামনে সাদা ও লাল রংয়ের শার্ট পরিহিত ২০/২২ বছর বয়সী দু’জন যুবক মহিদুল ইসলাম সাফাকে ছুরিকাঘাত করছে। এরপর তারা দ্রুত দড়াটানার দিকে দৌঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
যশোরের মোটরপার্টস ব্যবসায়ী সাফা হত্যা মামলায় আটক ২: দুই লাখ টাকা চুক্তিতে খুন করা হয়
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/