যশোর প্রতিনিধি: বখাটের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাদরাসার ছাত্রী আত্মহত্যা করলেও বখাটের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না তার পরিবারের লোকজন। সশস্ত্র হামলার ভয়ে তার পিতা-মাতা, চাচা ও ভাই বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ কোন আসামিকে আটক করতে পারেনি বা করেনি।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন নিহতের চাচা সদর উপজেলার কচুয়া গ্রামের মৃত শামসের আলী বিশ্বাসের ছেলে আলাউদ্দিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্ল্যেখ করেছেন, তার ভাই নুর মোহাম্মদের মেয়ে যশোর সদর উপজেলার খানকায়ে ওয়াইছিয়া মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হালিমা খাতুনকে একই এলাকার ইজিবাইক চালক নুর মোহাম্মদের ছেলে ভাটার শ্রমিক ইউসুফ উত্যক্ত করতো। গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে হালিমা খাতুন তার মায়ের সাথে ভোট কেন্দ্রে গেলে প্রকাশ্যে আব্দুল্লাহ তার শীলতাহানী ঘটায়। এসময় তার বড় ভাই আব্দুল্লাহ ঠেকাতে গেলে ইউসুফের লোকজন তাকে মারপিট করে এবং কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। হালিমার মা হাজেরা খাতুন এগিয়ে গেলে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এঘটনায় লজ্জায় অপমানে পরদিন সকাল ১১টায় নিজের ঘরে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে হালিমা খাতুন।
এদিন নিহত হালিমের ভাই আব্দুল্লাহ আবাদ কচুয়ার ইউসুফ, নিরব, জীবন, সুমন, শান্ত, রাশেদসহ অজ্ঞাত বখাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নম্বর ৫৫।
সংবাদ সম্মেলনে উল্ল্যেখ করা হয়েছে, বখাটে আব্দুল্লাহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যাকলাপের অভিযোগ রয়েছে। তারা স্থানীয়দের জিম্মি করে নানা ধরণের নির্যাতন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আলাউদ্দিন পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন রাজ, সাধারণ সম্পাদক আমির আলী মোড়ল, হালিমার পিতা নুর মোহাম্মদ বিশ্বাস, মাতা হাজেরা খাতুন, বোন হামিদা খাতুন, ভাই আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
বখাটের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাদ্রাসা ছাত্রী আত্মহত্যা করলেও রক্ষা পাচ্ছে না তার পরিবার
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/