নাজমুল হক, পাটকেলঘাটা: পাটকেলঘাটার আশেপাশের মাঠ ভরে উঠেছে সরিষার ফুলে। ফলন ভাল হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।
তালা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর উপজেলায় ৪৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে পাটকেলঘাটা থানার ৫টি ইউনিয়নে ১৬০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। যার অধিকাংশ বারি ১৪, বারি ১০, বারি ৯, তরি ৭ জাতের।
পাটকেলঘাটার সরুলিয়া, বড়বিলা, বড়কাশিপুর, খোর্দ, পুটিয়াখালি, চৌগাছা, বাইগুনি, পারকুমিরা, ভার্সা, রজেন্দ্রপুর, জুজখোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় এ সরিষার আবাদ হয়েছে।
নগরঘাটার সোলাইমান সরদার জানান, এ বছর ৫১ শতক জমিতে বারি ১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। এতে তার জমি চাষ থেকে শুরু করে সার প্রয়োগসহ প্রায় ১৫-১৬শত টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আবাদ ভাল হয়েছে। তিনি আশা করেন এ জমিতে ৭-৮ মণ সরিষা উৎপাদন হবে। যার বিক্রি মূল্য প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টাকা। মাত্র ৭০-৮০ দিনের মাথায় এ ফসল ঘরে তোলা যায় বলে তিনি জানান। এছাড়াও তার অন্য একটি ৪২ শতক জমিতে বিনা ১০ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন আমন ধানের ক্ষেতে। আমন ধান কাটার আগ মুহুর্তে তিনি ধান ক্ষেতে বিনা ১০ বীজ ছিটিয়ে দেন। পরে ধান কেটে ঘরে তোলার পরে সরিষা গাছ বাড়তে থাকে। ফলনও বাম্পার হয়েছে। এ বিনা ১০ আবাদ করতে তার কোন খরচ হয়নি। বিনেরপোতা পরমাণু কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে বিনামূল্যে তিনি বীজ সংগ্রহ করেন। এ ৪২ শতক জমিতে তিনি ৯/১০ মণ সরিষা পাবেন বলে আশা করেন। এতে বিনা খরচে মাত্র ৭৮-৮০ দিনে আয় হবে প্রায় ১৬-১৭ হাজার টাকা।
পাটকেলঘাটা এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দিলিপ কুমার ঘোষ জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। আমরা সময়মত কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। কোন সমস্যা এখনো পর্যন্ত হয়নি। আশা করা যায় ভালো ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। কৃষকেরা বারি ১৪, বারি ১০, বারি ৯, তরি ৭ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। প্রত্যেকটির ফলন ভালো। আমাদের কৃষি বিভাগের কর্মীরা প্রতিনিয়ত কৃষদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
পাটকেলঘাটায় সরিষার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/