ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন শিরোমণি বিসিক এলাকায় সুগুনা পোল্ট্রি ফিডের সহকারি ম্যানেজার মোস্তফা সাবিবুর রহমান শান্ত হত্যার মূল রহস্য উৎঘাটন করেছে পুলিশ। ডিপোর পণ্য আনা নেওয়া কাজে ব্যবহৃত পিকাপের ড্রাইভার আব্দুল গণি শেখ ম্যানেজার শান্তকে ফোন করে কৌশলে ডিপোর প্রধান ফটকের তালা খুলে ভিতরে ঢুকে টাকা লুটের উদ্দেশ্যে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ সময় তার সাথে ডিপোর সর্দার তৈয়মুর রহমান এবং ডিপোর শ্রমিক কাইয়ুম হাওলাদার ও নুর আলম ছিলো বলে গ্রেফতারকৃত দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) গ্রেফতারকৃত চারজনের একদিনের রিমান্ডে শেষে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদের মধ্যে নূর আলমের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ডিপোর অফিস রুম থেকে লুট হওয়া টাকা এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে গ্রেফতারকৃতদের পুনরায় রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছে পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সোনালী সেন জানান, মোস্তফা সাবিবুর রহমান শান্ত হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উৎঘাটিত হয়েছে। মোবাইলের সূত্র ধরে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মঙ্গলবার শিরোমণি থেকে আটক আব্দুল গণি শেখ এবং একদিনের রিমান্ড শেষে বুধবার মহানগর হাকিমের আদালতে নূর আলমের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই হত্যাকান্ডের মূলহোতা গণি শেখ বলে জানা গেছে। হত্যাকান্ডের রাতে আব্দুল গণি শেখ ফোন করে ডিপোর লেবার সরদার তৈয়মুর রহমান, ডিপোর শ্রমিক কাইয়ুম হাওলাদার এবং নুর আলমকে ডিপোতে ডেকে নেয়। পরে গণি শেখ ফোন করে মোস্তফা সাবিবুর শান্তকে কৌশলে প্রধান ফটকের ক্লবসিবাল গেটের তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে অফিস রুমে থাকা দেড় লক্ষ টাকা লুট করে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তিনি আরো জানান হত্যাকান্ডের রহস্য উৎঘাটন এবং এর সাথে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে এখন লুট হওয়া টাকা এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে গ্রেফতারকৃতদের পুনরায় রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডিপোর ম্যানেজার মামুনুর রহমানের বিষয়ে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি, তবে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ডিসেম্বর রাতের কোন এক সময়র শিরোমণি বিসিকের সাব ডিলার ডিপোর সহকারী ম্যানেজার মোস্তফা সাবিবুর রহমান শান্তকে দূষ্কৃতিকারী ডিপোর মধ্যে ঢুকে দেশি অস্ত্র দিয়ে মাথা এবং মুখে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে অফিস রুমের ক্যাশের তালা ভেঙ্গে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট কয়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে নিহতের চাচা মাসুম খানাজাহান আলী থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা করেন।
সুগুনা পোল্ট্রি ফিডের সহকারি ম্যানেজার শান্ত হত্যার মূল রহস্য উৎঘাটন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/