Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুরে স্কুল ছাত্র পারভেজ হত্যার কুল কিনারা হয়নি, শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরে পারভেজ হোসেন শিমুুল নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে এলাকাবাসীর আয়োজন মানববন্ধনে শিমুলের স্কুলের সহপাঠি, শিক্ষকসহ আশপাশের কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বজন এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার শতশত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শিমুল হত্যার প্রায় দেড়মাস পার হতে চললেও ঘটনার সাথে জড়িতদের কাউকে পুলিশ আটক করতে পারেনি। এটা হতাশার। হত্যাকারী যেই হোক তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি এলাকাবাসীর।
শিমুলের পিতা রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা আমার ছেলের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে আমি সন্দেহ করছি তাদের ব্যাপারে পুলিশকে বারবার জানানো হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেন না। ঘটনার সাথে প্রকৃতভাবে জড়িত এমন কাউকে পুলিশ এই পর্যন্ত আটক করতে পারেনি। পুলিশ এই পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এলাকা থেকে যাদের ধরেছে, তাদের আমার ছেড়ে দিয়েছে।
রফিকুল আরও অভিযোগ করেন, মামলা করার সময় তিনি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করতে চাইলেও সেটা সম্ভব হয়নি। পরে অজ্ঞাত পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তিনি পুলিশকে বারবার আসামি গ্রেফতারে তাগিদ দিলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। এমনকি ইচ্ছে থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করতে পারছেন না তিনি। তিনি বলেন, এলাকায় একটি ছেলেকে চাকরি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই পরিবারের সাথে আমার দ্বন্দ্ব হয়। সেই সূত্রধরে আমার ছেলে খুন হতে পারে। এছাড়া আমার ছেলে সবসময় বাড়ির পাশে একটি মাঠে র‌্যাকেট খেলত। ওই দিন তাকে মোবাইল করে ডেকে দূরে কাশিমপুর স্কুল মাঠে নিয়ে যাওয়া হয়। যারা কখনও র‌্যাকেট খেলে না, ঘটনার রাতে তেমন কিছু লোক খেলায় অংশ নিয়েছে। তাদেরকেও আমার সন্দেহ হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খেদাপাড়া ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। চাকরির বিষয়টি নিয়ে যাদের নাম ছেলের পিতা বলছেন, সেটা আক্রোশমূলক। মামলায় অজ্ঞাত আসামি হওয়ায় রহস্য বের করতে সময় লাগছে।’
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের সরসকাঠি গ্রামের রফিকুলের ছেলে শিমুলকে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরের দিন সকালে থানা পুলিশ বাড়ির পাশের একটি মাঠ থেকে শিমুলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় অজ্ঞাত পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন শিমুলের পিতা। স্থানীয় কাশিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তার এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version