এম ওসমান, বেনাপোল: পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত ও অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে বেনাপোলের পদ্মবিল। তবে শুধু বিদেশি পাখিই নয় দেশি পাখিরাও যোগ দিয়েছে তাদের সাথে। আর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শত শত পাখি প্রেমিক নারী-পুরুষের ভীড় জমছে পদ্মবিলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পঞ্চাশ গজ দূরেই ওপারে ভারতের কাটাতারের বেড়া, পাশেই সবুজ বেষ্টনীতে ঘেরা যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রাম। এই গ্রামের পাশেই প্রায় ৭০ বিঘা জমির জলাশয় নিয়ে পদ্মবিল। নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে গড়ে ওঠা অভয়াশ্রমে পাখির কলতানে মুখরিত গোটা এলাকা। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শতশত পাখি প্রেমিক নারী-শিশু দর্শনার্থীর ভীড় হচ্ছে চোখে পড়ার মতো।
দর্শনার্থী আব্দুল জব্বার ও আলী হোসেন বলেন, সরাইল, পানকৌড়ি, ডংকুর, বেগ ও কাসতেচুড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি চরছে জলাশয়ে। পাখির কিচির-মিচিরে মুগ্ধ হচ্ছে মানুষ। দেশি ও বিদেশি জাতের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে এখানে।
দুর্গাপুর গ্রামের মনির হোসেন ও মোহম্মাদ আলী বলেন, নাজুক যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দর্শনার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বেশ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা যদি অভয়াশ্রমের পাখির আরও বেশি পরিচর্যা নিতেন তাহলে আরো বেশি পাখি এখানে আসতো।
লক্ষণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম জানান, পাখির এ অভয়াশ্রম রক্ষায় গ্রামবাসী কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। পদ্মবিল পরিদর্শন করেছেন তিনি। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় বিষয়টি সুরাহের জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জয়দেব কুমার সিংহ বলেন, সন্ধ্যায় এখানে হাজার হাজার পাখি আসে। সকালে খাদ্যের সন্ধানে ফিরে যায়। তবে উপজেলায় অনেক স্থানে পাখি শিখারীরা ফাঁদ ও ইয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করছেন। এসব পাখি শিকারীর আমরা কঠোর নজরদারিতে রাখছি। পরিবেশে যেন বিরুপ প্রভাব না পড়ে তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পদ্মবিলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পখি সংরক্ষণে কাজ করছেন যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
বিদেশি পাখির অভয়াশ্রম বেনাপোলের পদ্মবিল
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/